না’গঞ্জে যুবদল নেতা কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে শিউলির জিডি

আপডেট: মে ২৪, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি ও নাসিক ১৩ নংওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও রেহানা মুসকান নামের এক নারীর বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করায় বাদী সাঈদা আক্তারকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে আসামিরা।

এমনকি সাঈদা আক্তার যাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায় সেজন্য তার ব্যবহৃত গাড়ির রেডিয়েটার নস্ট করে দেয় দুর্বৃত্তরা। কথিত এসব অভিযোগ এনে রবিবার (২৩ মে) রাতে ফতুল্লা থানায় জিডি (নং-১০৯৩) করেছেন সাঈদা আক্তার। ফতুল্লা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম ঘটনাটি তদন্ত করছেন। সাঈদা আক্তার ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর সদস্য ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

উল্লেখ্য যে চলতি মাসের ১৬ তারিখে বাদী সাঈদা আক্তার ২০১৮ সনের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫(২)/২৯(১)৩১(২) ধারায় ফতুল্লা থানায় তিনি কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা মুসকানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেন। ফেসবুক লাইভে খোরশেদ ও রেহানা মুসকান অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মিথ্যা অভিযোগ ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে সাঈদা আক্তারের সম্মানহানী করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। একই সাথে খোরশেদের বিরুদ্ধে প্রতারনাও নানারকম অপকর্মের অভিযোগ তোলেন সাঈদা।

রবিবার রাতে দায়ের করা জিডিতে সাঈদা আক্তার অভিযোগ করেন মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামীরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে। ২৩ মে সকালে তার বাসার সামনে এসে অজ্ঞাত দুর্বৃওরা নাম ধরে গালিগালাজ এবং মামলা তুলে না নিলে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় একই সাথে সাঈদাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয় তারা। এর আগে গত ১৯ মে দুর্বৃত্তরা তার ব্যবহৃত গাড়ির রেডিয়েটার নস্ট করে দেয়। যাতে তিনি বের হলে দুর্ঘটনার শিকার হন।

সাঈদা আক্তার দাবী করেন, মামলার আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তাকে জানে মেরে ফেলার চেষ্টার পাশাপাশি তাকে নিয়ে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও বদনাম রটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।