স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আজ

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২১
0

বাংলা নামের দেশটির আজ জন্মের অর্ধশত বছর পূর্ণ হয়েছে। আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। আজ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৯৭১ সালে আজকের দিনে শুরু হয় আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম। জাতির ইতিহাসে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন ছোট কোনো বিষয় নয়। একে একে অর্ধ শতাব্দী পেরিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে আছে।

বিগত বছরগুলোতে অর্জিত হয়েছে অনেক সাফল্য অনেক গৌরবগাথা। বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে বড় অর্জনই ছিল আমাদের স্বাধীনতা। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা আমাদের স্বাধীন অস্তিত্বকে তুলে ধরেছে পৃথিবীর মানচিত্রে। স্বাধীন জাতির এ অর্জন গৌরবের, অহঙ্কারের। দেশমাতৃকার স্বাধীনতা সংগ্রামের সব শহীদ ও আত্মদানকারীর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। অযুত সালাম স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর সেনানীদের প্রতি। আজ শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করছে। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনে সম্প্রচার হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি। দিবসটিতে সারা দেশে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

২৫ মার্চের কালরাতে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব মুক্তিকামী নিরস্ত্র জনতার ওপর যে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড চালায় তাতে চূড়ান্ত হয়ে যায় আমাদের স্বাধীনতার পথচলা।

২৫ মার্চের গণহত্যা পরিচালনার সময় পুলিশ, তৎকালীন ইপিআর এবং বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টে বাঙালি সৈনিক ও অফিসাররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পরদিন থেকে শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ। যে যার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে চূড়ান্ত সেই যুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিপাগল মানুষ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ইঙ্গিত লাভ করে। এরপর সমস্যা সমাধানে ১৬ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আলোচনা ব্যর্থতার দিকে গড়াতে থাকায় অনেকেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। মার্চের সেই উত্তাল দিনগুলোতে এভাবে প্রস্তুত হতে থাকে যুদ্ধের ক্ষেত্র।