সোমবার বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক সপ্তাহের জন্য সকল যাত্রীবাহী আর্ন্তজাতিক ফ্লাইটের আনাগোনা নিষিদ্ধ করেছিল যা আজ (বুধবার) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
বাংলাদেশে বুধবার থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের সময় বিদেশগামী ফ্লাইট চালু রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
কিন্তু জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রা আর ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন আটাব বলছে কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অন্তত ২৮ হাজার বিদেশগামী শ্রমিক দুর্ভোগে পড়বে এবং তাদের অনেকের জন্য চাকুরি হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হবে।
বাংলাদেশে গত পাঁচই এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাতদিনের যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন থেকেই অভ্যন্তরীণ সব রুটে বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে যে আর্ন্তজাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখলে সেটি করোনা সংক্রমণের গতি রোধে ভূমিকা রাখবে কি-না।
কারণ ইতালি ও যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশে যখন সংক্রমণ ব্যাপক মাত্রায় বাড়ছিল, তখনো সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করেনি বাংলাদেশ।
শুধু নির্দিষ্ট কিছু রুটে গত বছর বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছিল।
সে সময় অনেকেই যারা এসেছেন, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনেও ঠিক মতো রাখা হয়নি বলে জানা যায়। বরং হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার সময় কেউ কেউ বিয়ে করেছেন এমন খবরও এসেছিল গণমাধ্যমে।
বিবিসি