আশুলিয়ার সুবন্দী এলাকায় অজ্ঞাত মৃতদেহটি লাখির : বিয়ে ঠিক হওয়ায় আগের স্বামী হত্যা করে

আপডেট: জুন ১৩, ২০২১
0

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূলহোতা মোঃ জুয়েল (৩০) সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র‌্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।গত ০৮ জুন ২০২১ তারিখ দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন সুবন্দী এলাকায় একটি অজ্ঞাত নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর পরিচয় সনাক্ত করার জন্য র‌্যাব-১ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মৃতদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে। সনাক্তকৃত ভিকটিমের নাম লাখি আক্তার (২৯), পিতা- মজিবর রহমান, মাতা-আসমা খাতুন, গ্রামঃ গোয়াইলবাড়ি (কোনাপাড়া), পোঃ বিকেএসপি, থানাঃ সাভার, জেলাঃ ঢাকা। পরবর্তীতে বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করেন, যার নম্বর-২৯ তারিখ ১০/০৬/২০২১ ধারা- ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ।

র‌্যাব-১ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের গোয়েন্দা নজরদারীসহ ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকায় গত ১২ জুন ২০২১ ইং তারিখে র‌্যাব-১ এর একটি বিশেষ আভিযানিক ল জিএমপি গাজীপুর এর কাশিমপুর থানাধীন মাটি মসজি জনৈক রাসেলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এজাহারনামীয় ০১ নং আসামী ১) মোঃ জুয়েল (৩০), পিতা- মোঃ রফিক, জেলা- ঢাকা, এজাহারনামীয় ০২ নং আসামী ২) মোঃ রফিক (৫৭), পিতা- মৃত আফাজ উদ্দিন, জেলা- ঢাকা এবং এজহারনামীয় ০১ নং আসামীর স্বীকারোক্তি ও সনাক্তমতে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামী ৩) মোঃ বাচ্চু মিয়া (২৯), পিতা- মোঃ ইয়াজ উদ্দিন, জেলা- ঢাকা’দের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম লাখি আক্তার (২৯) এর হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততা স্বীকার করে।

ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত ০১ নং আসামী মোঃ জুয়েল (৩০) ভিকটিম লাখি আক্তারের ১ম স্বামী। ধৃত আসামী মোঃ জুয়েল (৩০) একজন মাদকসেবী এবং চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। এছাড়াও সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত। পরবর্তীতে বিগত ০৪ বছর পূর্বে

ভিকটিমের সাথে ধৃত আসামীর তালাক হয়। তালাকের পরেও ধৃত আসামী ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ভিকটিমকে পূনরায় স্ত্রী হিসেবে নিতে চায়। পরিবারের কেউ ভিকটিমের সাথে ধৃত আসামীর পূনরায় বিয়ে দিতে রাজি না হলে সে ভিকটিমকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে গত ২ মে ২০২১ ইং তারিখ জনৈক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সাথে ভিকটিমের বিয়ে হয়। ভিকটিমের পূনরায় বিয়ের কথা জানতে পেরে ধৃত আসামী ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং ভিকটিমকে তার ২য় স্বামীর সাথে

সংসার করতে দিবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গত ৮ মে ২০২১ ইং তারিখ ধৃত ১ নং আসামী ধৃত ৩ নং আসামী মোঃ বাচ্চু মিয়ার প্ররোচনায় ভিকটিম লাখি আক্তারকে কৌশলে আশুলিয়া থানাধীন সুবন্দী এলাকাস্থ আসামীদের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে কাঠের বাগানের ভিতর নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে ধৃত আসামী স্বীকার করে।