জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কারারুদ্ধ ইসহাক সরকারের জামিন সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র জমা দেয়া হলেও এখনও পর্যন্ত মুক্তি না পাওয়া এবং ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও বিগত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট মামলায় গ্রেফতারের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দূঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে আওয়ামী সরকার দেশকে বিএনপিশুণ্য করতে এখন মাঠে নেমেছে। স্বৈরাচারী সরকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং প্রতিবাদী জনগণের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণ চালিয়ে দেশব্যাপী ভয় ছড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করতে সাহস না করে। সর্বোপরি বিশে^র গণধিকৃত সকল স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকেও চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের ভয়াবহ দু:শাসনের বর্তমান হিং¯্ররুপ দেখে দেশের মানুষ আজ বাকরুদ্ধ। অশুভ আশঙ্কা, আতংক ও ভয়ের এক দুর্বিষহ পরিবেশ জনজীবনকে সারাক্ষণ উদ্বিগ্ন করে রেখেছে। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার আদালত থেকে জামিন লাভ সত্বেও তাকে বিভিন্ন কায়দায় জেল থেকে মুক্তি বিলম্বিত করা হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ও বিগত ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার তরুণ নেতৃত্বকে ধ্বংস করার নিরবচ্ছিন্ন অংশ। এই ধরণের অমানবিক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা আবারও প্রমান করে-বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধীদলহীন নিষ্ঠুর একদলীয় রাষ্ট্র কায়েমে বদ্ধপরিকর। মহামারী করোনা কালেও বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম দমন-নিপীড়ণ চালিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
বহু ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিতে বাকশালী শাসন কায়েম করতে তারা এখন উন্মত্ত কায়দা অবলম্বন করে বাস্তবায়নের পথে দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্দয় আচরণের পাশাপাশি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়া ও বানোয়াট মামলা দায়ের, জামিন লাভের পর মুক্তি পেতে বাধা ইত্যাদির ঘৃন্য নজীর স্থাপন করেছে আওয়ামী সরকার।
আমি অবিলম্বে ইসহাক সরকারের কারামুক্তি দাবি করছি। পাশাপাশি মোস্তাফিজুর রহমানকেও নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং এধরণের অপকর্ম থেকে সরকারকে সরে আসার আহবান জানাচ্ছি।”