এবার কিইউরা শেখালো বাংলাদেশকে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয় !ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও এর মধ্যে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। কোনো ম্যাচেই তেমন লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার শেষ ম্যাচেও রান পাহাড়ের সামনে বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে না জিতলে একেবারে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হবে বাংলাদেশের।চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে ব্যাটিং শেখালেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। ঝড়ের বেগে রান তুলে বাংলাদেশকে ১৪২ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করেছে টিম সাউদির দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন ফিন অ্যালেন।এদিন বাংলাদেশের সপ্তম অধিনায়ক হিসেবে টস করেন লিটন দাস। নিজের নেতৃত্বে প্রথম ম্যাচে টসে জিতেছেনও তিনি। টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লিটন।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে নাসুম আহমেদের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন মার্টিন গাপটিল। এরপর তাসকিনের ওভারে আরও ২টি বিশাল ছক্কা হাঁকান। মার্টিনের সঙ্গে রান তোলার উৎসবে যোগ দেন অ্যালেন।
যদিও ১৯ রানে আউট হতে পারতেন অ্যালেন। শরিফুল ইসলামকে উড়িয়ে মেরে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু সেখানে থাকা রুবেল হোসেন ক্যাচটি মুঠোয় নিতে পারেননি। ১৯ রানের পর ২৯ রানেও একবার জীবন পান অ্যালেন। এবার ক্যাচ মিস করেন সৌম্য সরকার।
দুবার জীবন পেয়ে আরও ভয়ানক হয়ে ওঠেন অ্যালেন। মাত্র ১৮ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি।
মাঝে গাপটিল-ঝড় থামান মেহেদি হাসান। লো-ফুল টস ডেলিভারি এক্সট্রা কাভারে তুলে দেন গাপটিল। সেখানে ছিলেন আফিফ হোসেন। ক্যাচটি লুফে নেন তিনি। ১৯ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন তিনি। ১৪ রানে ফিলিপসকে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
গাপটিল ফেরার পর দারুণ গতিতে ব্যাট চালিয়েছেন অ্যালেন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করা অ্যালেন ২৯ বলে হাঁকিয়েছেন ১০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কা।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে মাঠে গড়ায়নি বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। মাঝে বৃষ্টি থেমেছিল। তখন মাঠ পরিদর্শনেও নামেন আম্পায়াররা। কিন্তু মাঠ পরিদর্শনের কিছুক্ষণের মাথায় ফের বৃষ্টি হয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অবশেষে ১০ ওভারের ম্যাচে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। একই দিনে এই মাঠে আজ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নারী দলের টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়ে যায়।