এমপি আদেলকে দূর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে সৈয়দপুরের ২১ জাপা নেতার বিবৃতি, পদত্যাগ দাবী

আপডেট: মে ১৩, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির সহসভাপতি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেল কে একজন অর্থলোভী, অকৃতজ্ঞ ও জনবিচ্ছিন্ন নেতা হিসেবে অভিহিত করেছেন সৈয়দপুর জাপার নেতৃবৃন্দ। সম্প্রতি সৈয়দপুরে জাতীয় পার্টির দলীয় বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগকারী ২১ জন নেতা যৌথ বিবৃতি দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন। ১৩ মে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে এই লিখিত বিবৃতি প্রেরণ করা হয়েছে।

বিবৃতি প্রদানকারীরা হলেন, উপজেলা আহ্বায়ক শিল্পপতি আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম, যুগ্ম আহবায়ক ডাঃ সুরত আলী বাবু, সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন, স্বেচ্ছা সেবক পার্টির উপজেলা আহ্বায়ক শফিউল আলম সুজন, সদস্য সচিব সামসুদ্দিন অরুন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল দিদার দিপু, কেন্দ্রীয় জাপা সদস্য রাকিব খান, নীলফামারী জেলা যুব সংহতি সভাপতি রওশন মাহানামা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ভুট্টু, সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর কমিটির সদস্য শাহ মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ মুকুল চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম সবুজ, রমজান আলী বসুনিয়া, রাইসুল ইসলাম লাকী, মোঃ আফজাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম সাগর, মোঃ হায়দার আলী ও পায়েল চৌধুরী এবং মহিলা পার্টির শাহিদা জামান শেফালী, রানু বেগম।

যৌথ বিবৃতিতে ওই নেতারা বলেছেন যে, যদিও আমরা ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা সংকটের কথা উল্লেখ করে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জাতীয় পার্টির এমপি আহসান আদেলুর রহমানের সাংগঠনিক ব্যর্থতা, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার প্রতিবাদ করেই আমরা পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যা দলীয় শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই প্রকাশ না করে নিরব প্রতিবাদ জানিয়েছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেলেও তার নির্বাচনী এলাকা সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন করেননি। বরং তিনি গরীবের হক টিআর, কাবিটা, কাবিখা, ভিজিএফ’র টাকা ও খাদ্যপন্য আত্মসাৎ করে ঘৃণ্য কাজ করেছেন। তিনি ঐচ্ছিক ফান্ডের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। আদেল একজন অর্থলোভী মানুষ।

বিবৃতিদানকারী ওই নেতারা আরও বলেছেন, আমরা আদেলের দল করিনা। আমরা পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি করি। তাইতো পদ থেকে পদত্যাগ করলেও আমরা সাধারণ সদস্য হিসেবে দলে আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। তবে কোন ভুঁইফোড় নাবালক স্বেচ্ছাচারী রাজনীতিবিদের সাথে আমরা নাই। দলীয় ও এমপি পদের মর্যাদাহানী করে তিনি অনিয়ম দূর্নীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় তারা দলের হাইকমান্ডের কাছে নীলফামারী জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও এমপি পদ থেকে আদেলের পদক্ষেপ দাবী করেছেন।

তারা বিবৃতিতে বলেছেন, গত বুধবার (১২ মে) সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ওই সংসদ সদস্য সংবাদকর্মীদের বলেছেন যে, আমরা নাকি নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারনে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। যদি এ কথা সত্য হয় তাহলে সে ব্যর্থতা সাংসদের নিজের। কেননা তিনিই পার্টির নীলফামারী জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি কতদিন সৈয়দপুরের জনগনের কাছে এসেছেন? জনগনতো দূরের কথা দলের নেতাকর্মীদের সাথেই তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তিনি শুধু তার অপকর্মের সহযোগী দলের বাইরের কয়েকজনকে নিয়ে ব্যস্ত। তাদের মাধ্যমে ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারী টাকা লুটপাটে মত্ত।

এব্যাপারে মন্তব্য জানার জন্য এমপি আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেলের মুঠোফোনে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।