এ গ্লোবাল ট্রেন – ৩: ‌`বাংলাদেশকে ভাগ করার প্রস্তাব উঠেছিলো ভারতীয় পার্লামেন্টে’

আপডেট: মে ১৫, ২০২৩
0


ডা জাকারিয়া চৌধুরী :

১. এ পর্বটি লেখা হয় ট্রাম্পের নির্বাচিত হবার পুর্বে এবং সেখানে স্পষ্ট করা হয় তিনি কিভাবে নির্বাচিত হবেন। সে সময় এ লেখাটি প্রকাশিত হলে অনেকে-ই হেসেছিল। ট্রাম্পের পাশ করার অগ্রিম বার্তাকে আমার উর্বর মস্তিষ্কের কল্পনা বলেছিল সবে।

২. খুলনা থেকে ত্রিপুরার সীমান্ত রেখা পর্যন্ত ম্যাপের উপর একটা স্কেল রেখে বাংলাদেশকে ভাগ করার প্রস্তাব উঠে এ লেখাতে । সেটাও কি আমার মস্তিস্কের উর্বর কল্পনা ? এ লেখাটি প্রকাশিত হবার সপ্তা দুই আগে হিন্দুস্থানী সাংসদ সুব্রানিয়াম স্বোয়ামীর মুখ দিয়ে এ প্রস্তাব উঠেছিল ভারতের সংসদে।

একটা সিগারেটকে ঠিক কত জোড়ে টান দিলে সেটা দুই টানেই জুনিয়র বুশের সহযোগী কন্ডোলিনা রাইসের মত চিমসে হয়ে যায়, ফেডারেল ব্যাংক চেয়ারম্যান সেটা ভাবছেন। মাত্র কয়েক মুহুর্তে আকাশ একের পর এক সিগারেট ধরালো, দুইটান দিয়ে যত্রতত্র ফেলতে লাগলো। তিনি নিজে কখনো তামাক সেবন করেননি। অথচ তাঁর দুটো লাংস’ই মাস কয় পর অবসরে যাবে। তা না হলে তাঁর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা শুন্য। তাঁর ধারনা আকাশ তাদের কাউকে চেনেন না। তাঁর ধারনা কখনো ভুল হবার রেকর্ড আজতক নেই। তিনি ঘড়ির দিকে তাকালেন। হাতে সময় নেই। কোনো ভনিতা ছাড়া সরাসরি আকাশের চোখের উপর তাঁর পেচার মত দু চোখ নিবদ্ধ করে তাকালেন।

ইজেল রোজ- ফেডারেল ব্যাংক অব আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে আছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। সময়ের কাটা হেরফের হতে পারে কিন্তু ইজেল চলেন সময়ের দশ বছর আগে। তার অফিসের দরজায় একটা কথা-ই লেখা ‘don’t enter till I call u here. ইজেল এবং তাঁর গোটা সাম্রাজ্য বিশ্বাস করেন এই নোটিশকে অগ্রাহ্য করার সাহস খোদ আমেরিকান প্রেসিডেন্টেরও নেই। ফেল করা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হেভিওয়েট জন ম্যাককেইন তাঁর সাথে বসে আছেন জবুথবু হয়ে। মিঃ ইজেল রোজ বহুবার তাঁর ব্যাক্তি বিশ্বাসের এর প্রমানও দিয়েছেন। আল আকসা মসজিদের পাশের গভীর মাটির নিচে সোয়া কিলোমিটার এরিয়ায় তাবু ঢাকা অংশে গত পাচ বছর ধরে ইসরাইলিরা ঠিক কি করছে এ প্রশ্ন করেছিলেন আমেরিকার সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মিস্টার বারাক হুসেন ওবামা। ইজেল তার হাতে থাকা কাগজটি ওবামার হাতে ধরিয়ে দিলেন। সেখানে স্পষ্ট লেখা- গত পাচ বছর অবিরাম চেষ্টা করেও আমাদের তাবুর ভিতরে কি হচ্ছে তা বের করতে না পেরে এনএসএ শেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে ওবামা গাধাটাকেই বলির পাঠা বানাবে। কাগজের নিচে ইজেলের সই আর স্বাক্ষরের যে তারিখ শো করছে তখনো ওবামা দ্বিতীয় মেয়াদে ইউএস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। ‘একটা বন্দুক, একটা ঘোড়া আর কিছু কার্তুজ ব্যাবহার করে মানুষের যতটা উন্নতি হতে পারে তারচে হাজার লাখ গুন বেশি উন্নতি করেছে আমেরিকা শুধুমাত্র ইহুদিদের দয়ায় !! – ইজেলই ওবামার দিকে তাকিয়ে নিচু স্বরে বাকি কথাগুলো বলছিলেন তাচ্ছিল্যের ভংগিমায়। শুনুন মি প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা। নেক্সট ইলেকশনে আপনাদের প্রার্থী হচ্ছেন হিলারী রডহ্যাম ক্লিনটন। পপুলার ভোটে আশা করছি মিসেস ক্লিনটন তিন মিলিওন ভোট বেশি পাবেন । তবু তিনি প্রেসিডেন্ট অব ইউ এস হচ্ছেন না। ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড, প্লিজ লেট মি গো টু মাই বাংলা লেসন ক্লাস। তোমার হম্বিতম্বি শোনার চেয়ে বাংলা শেখা আমার জন্য বেশি জরুরী। তুমি তোমার কলাটা ব্যাবহার করে দেখতে পারো স্বমেহন করা যায় কিনা !! তিনি উঠে দাঁড়ালেন এমনভাবে যেন ওবামাকে বলতে চাইছেন- বের হয়ে যা, কালা কুত্তার গু……
– ওহ হো, সর্যি । ইট ওয়াজ এ ভেরি নাইস টাইম বোথ ফর আস। উই শ্যাল মিট এগেইন……… থমথমে গলায় কথা গুলো দ্রুত বললেন সদ্য বিদায়ী আমেরিকান রাষ্ট্রপতি মি বারাক ওবামা।

: উই উন্ট মিট এগেইন- বলে গটগট পায়ে মি ইজেল যখন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন; কে বলবে তার বয়স আটাত্তর ? ওবামা ভাবছিলেন, জন ম্যাককেইনের পরাজয় ছিল রিপাবলিকানদের প্রতি ইহুদিদের চাপিয়ে দেয়া একটা শাস্তি। রিপাবলিকানরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ইজেলদের পায়ে ধরেছে। ওমাবা ঘাম মুছতে মুছতে ভাবলেন – ইজেলের কথামত তিন মিলিয়ন কেন ,দশ মিলিওন ভোট বেশি পেলেও হিলারি প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন না। এত বড় পৃথিবীতে ক’জনা জানে, জনগনের ভোটে এখানে কেউ নির্বাচিত হয়না !! রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন তার হোমওয়ার্ক করে থাকে মাত্র আটটি পরিবার, কিছু মাফিয়া, কিছু সিনেটর আর তাদের চলমান আভ্যন্তরিন অর্থনীতির খেলোয়াড়েরা। যে আটটি পরিবারের কথা বললাম তারা সহ বিশ্বে মাত্র গোটা দশ পরিবারের হাতে রয়েছে পৃথিবীর নব্বই আনা সম্পদ। ফেডারেল রিজার্ভ একদিন মাত্র বন্ধ থাকলে বাংলাদেশ ছাড়া সভ্য রাষ্ট্রগুলোর কমপক্ষে দশজন সরকার প্রধানের পতন হবে।

কনফারেন্স রুম-
——————-
এ রুমে ছারপোকা জাতীয় কোন ডিভাইস নেই এটা নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং মোসাদ চিফ। ম্যাককেইনকে দুরের চেয়ারটি দেখিয়ে রোজ নিজে এসে বসলেন আকাশের পাশে। তীব্র মমতা আর ভালোবাসা যেন ঠিকরে বের হচ্ছে তার চোখ মুখ থেকে। তিনি প্রথম কথা বললেন।
– তোমার মায়ের ভাষায় কথা বলার জন্য গত পাচ বছর ধরে আমি শুধু বাংলা শিখেছি। এর সাহিত্য পড়েছি। রবীন্দ্রনাথ নজরুল সহ প্রায় সবার বই পড়েছি। কিছু কিছু লেখকের জন্যে বড় কষ্ট পেয়েছি। তারা বেচে থাকলেই রবীন্দ্রনাথ চোর হয়েও অমর হতে পারতেন না। হাজার হাজার ডকুমেন্টারি দেখেছি। খুলনা, সুন্দরবন, মাদারিপুর, চাঁদপুর আর তিন পার্বত্য জেলার প্রতিটা গ্রাম আমার মুখস্ত। আরে ছেলে ! তোমার সাথে পরিচিত হবার আগেই দেখি বকবক করতে শুরু করে দিয়েছি…… কি লজ্জার কথা। ছি ছি… আমি ইজেল। ইজেল রোজ।

ইজেলের ধারনাকে ধুলোয় উড়িয়ে দিয়ে আকাশ বলল- হ্যা। আপনি ফেডারেল ব্যাংক চিফের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন আজ প্রায় পনের বছর ধরে। গত পাচ বছর আপনি নিয়মিত অফিস করে গেছেন ঠিকই, ব্যাংকের যাবতীয় কাজ সামলেছেন আপনার সাবেক স্ত্রী। ইসরাইল আর আমেরিকার স্যাটেলাইট গুলোর নজরে ছিল উত্তর কোরিয়া, ভারত-পাকিস্তান বর্ডার, চায়না-ভারত-পাকিস্তান বর্ডার আর বাংলাদেশ। খুলনা থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত একটা কাল্পনিক রেখা টেনে কিছু একটা করার কথা ভাবছেন। আরাকানকে খালি করছেন…….. মুলত রোহিঙ্গা মুসলিমদের।
– আইওএস/উইন্ডোজ/এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে খুব সাদামাটা যে এপসটা গুগলকে গছিয়ে বিড়ালের মত নিঃশব্দে যেদিন উধাও হয়ে গেলে সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত পাচ বিলিয়ন ডলার খরচ করে কোন ভুলই করিনি দেখছি !! ইজেলের চোখে বিষ্ময়, মুখে মৃদু হাসি। শুধু তোমার নিরাপত্তায় আমি আকাশ বাতাস এক করে ফেলেছি। তুমি আমাদের প্রতিটা স্যাটেলাইটের অর্বিটাল কোর্স এবং গতিবিধি জান। মাত্র এক ঘন্টার নোটিশে সেসব ফেলে দেয়ার ক্ষমতা রাখো। আর… আর … এগুলো ছাড়া আমরা অন্ধ। অথচ বেচে থাকার অধিকার আমাদেরও আছে। তুমি একজন বাংলাদেশী ?

চায়নীজ:
-গুড। প্রফেশনাল উত্তর। খুলনা থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে ইহুদিরা অনেক নিরাপদ আর স্বস্তিতে থাকবে। সবচে বড় কথা এ অঞ্চলকে খালি করতে আমরা বায়ু দুষন হয় এমন কোন উইপন্স ব্যাবহার করতে দেব না, আফটার অল ইজরাইলী বনেদী লোকেরাই তো থাকবে। তাদের পরিবেশগত একটা স্ট্যান্ডার্ডের দরকার আছে, তাইনা ? মায়ানমার জান্তা বলো কিংবা সুচী………… চুক্তি অনুযায়ী তারা আরাকান খালি করার শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। তোমাদের সাথে বাংলাদেশের কোন সীমান্ত নেই। আলোচনা না করলেও পারতাম… তোমাদের পার্ব্যত্যাঞ্চলের সাথে মিজোরাম সীমান্ত কত কিলো জানো ?

নর্থ কোরিয়ার আশ পাশে চায়না এবং রাশান অবস্থান স্ট্র্যাটেজিক। তাদের সব খবর বের করা যায় না। এজন্য ইউরোপ ঘিরে আমরা প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য মিলে প্রায় সাড়ে তিনশ ঘাটি গড়েছি। আমরা চেষ্টা করছি রাশিয়ায় ঢুঁকে যেতে। কিন্তু ইতিহাস বলে, রাশিয়ায় প্রবেশ করা যায় সত্য, বের হয়ে আসা যায় না। সেজন্য রাশিয়ার চারপাশ ঘিরে এগুচ্ছি। রাশিয়া এ কথা জানে। সব কিছু গোপনে করা যায় না। লাদাখ থেকে সিকিম পর্যন্ত অরুনাচলের বেশ কিছুটা করিডোর ভারত জোর করে ধরে রেখেছে। স্বাধীন সিকিমকেও ছেড়ে দিতে হবে তাদের। ভুটান সীমান্ত ভারতের নয়। আমরা অবশ্য তোমাদের স্যাটেলাইট গুলোর ব্যাপারে আগ্রহী নই। ইটস এ ডিল। আগামী সাত দিন সময় দিচ্ছি। প্রত্নতত্ত্ব আবিস্কারের নামে ইসরাইল এখানে পুরো বিশ্বকে টিভির সামনে ধরে রেখেছ। জেরুজালেমকে রাজধানী করার প্রক্রিয়া চলছে। এই এক্সিবিশন চলবে মোট সাতদিন। আশা করি যথেষ্ট সময় তোমরা পাবে। তোমাদের ডাবল পাসপোর্ট, ডাবল এন্ট্রির ব্যাপারে কেউ তোমাদের কিছু বলবে না। চাইলে তুমি পুরো ইসরাইল ঘুরে দেখতে পারো। তোমার জন্য যেসব ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে আশা করি তুমি এতে খুশি হবে। চায়না সরকার আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমিও তোমাকে মুগ্ধ করতে পারব বলে আশা করি

লেখক, চিকিৎসক, রাজনৈতিক ও কলাম লেখক