এ গ্লোবাল ট্রেন -2

আপডেট: মে ৮, ২০২৩
0


ডা .জাকারিয়া চৌধুরী :

কাকতালে যাদের বিশ্বাস আছে এ পর্ব গেলার জন্যে সেটা মোটামুটি মানের হলেও চলবে। এক্ষেত্রে পরের কথাগুলো হজম করতে পারবেন বলে আশা করি। বিশ্বের সাড়ে সাত’শ কোটি মানুষের কেউ কিছু না জানলেও রাশিয়া, চায়না এবং ইসরায়েল যে কোন উপায়ে-ই হোক ইউ এস – ইন্ডিয়ান দুতের একান্ত আলোচনার অডিও পেয়েছে। ভারতীয় ডিপ্লোমেট, ক্ষমতাধর জেনারেল কিংবা পরমানু গবেষক বিখ্যাত বিজ্ঞানী সে যে-ই হোক না কেন তাদের একটা আজন্ম দুর্বলতা আছে। তারা হানি ট্র্যাপে পা দেয়। এ সত্য ঐতিহাসিক। এ সত্য নেহেরু থেকে শুরু করে গত সপ্তাহে ইসরুর একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী পর্যন্ত সত্য। এটা যেন তাদের নিয়তি বা জন্মগত বিচ্যুতি। এ জাতির পুরুষেরা খুব অল্প বয়স থেকে-ই যৌন অক্ষমতায় ভুগতে শুরু করে। আবার তাদের নারীরা অল্প বয়স থেকে ফুঁসতে শুরু করে। বেশিরভাগ পুরুষ-ই ইরেক্টাইল ডিসফাংশন রোগে ভুগে। নারী পুরুষের মনস্তাত্ত্বিক বিভাজন একটা আছে ভারতীয় সমাজে। এ বিভাজতের শুরুটা হয় খুব সম্ভব এ সমস্যা থেকে। নারী জাগরনে সে দেশের নারীরা যতটা এগিয়ে তাঁর মুল একটা কারন অন্ততঃ যৌন স্বাধীনতার নিশ্চয়তা ভোগ করা। বিষয়টা প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য যেভাবে-ই দেখুন না কেন, এটা সত্য। এ দুর্বলতা আজন্ম বয়ে বেড়ানো পুরুষেরাও কম যায় না। কিছু করতে পারুক বা না পারুক, ফ্রি তে পাওয়া এক খন্ড যোনীর জন্য যা যা করা প্রয়োজন ভারতের পুরুষেরা তা-ই করে।

আমস্টার্ডামে অনুষ্ঠিত টপ সিক্রেট ভারত-আমেরিকার মিটিং নিয়ে অডিও পাওয়া দেশগুলোতে ঘরোয়াভাবে সন্দেহ আর অবিশ্বাস জন্ম নিলেও পরে আমেরিকার হস্তক্ষেপে সেটা মিডিয়া কাভারেজ পায়নি। মিডিয়াকে কিভাবে নাচাতে হয় সে কাজটা যদি একটা শিল্প হয় তবে সে শিল্পে ভারত আমেরিকার চেয়ে ধুর্ত জাতি দুনিয়ায় আর দ্বিতীয়টি নেই। ওয়াশিংটন পোষ্ট আর হারেথজ এর পতিতা দুটোকে আর কোনোদিন সাংবাদিকতার বুল কিংবা ক্যামেরা হাতে দেখা যায়নি। মাস ছয়েক পরে দেখা গেল তাদের একজন নেতানিয়াহুর দোভাষী হিসেবে কাজ করছেন তো অন্যজনকে দেখা গেল গ্লোবাল ওয়ার্মিং সামিটে আমেরিকার পক্ষে ভেটো দিতে। এরপরেও যারা যারা এ বিষয়ে কেচো খোঁড়ার চেষ্টা করেছে, তারা দৃশ্য থেকে নেই হয়ে গেছে। ভারত আমেরিকা আগের মতই এ মিটিং কে দুই বন্ধুর ব্যাক্তিগত আলাপচারিতা হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে। যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক, যার ইচ্ছা নয় সে বিশ্বাস না করুক। তাতে কারো কিছু যায় আসে না। আমস্টারডাম ঘটনাকে সো-কল্ড ডিনারপার্টি হিসেবে উল্লেখ করা হলেও, পরের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বিশ্ব সামরিক ব্যাবস্থায় কিছু অস্বাভাবিক মুভমেন্ট নজরে আসে যা চলে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত। রাশিয়া এবং চায়না ভারত মহাসাগর এবং ব্ল্যাক সি তে নৌ মহড়ার ঘোষনা দেয়। ইউরোপ এবং আমেরিকার স্বাধীন থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান গুলোর ভুরু কুঁচকে একেবারে কপালে নিয়ে ঠেকাতে এক প্রকার বাধ্য করেছে। চায়না অন্য বেশিরভাগ সময়ের মত চুপ থেকেই ভারত মহাসাগরে অবস্থান নেয় আগে, মহড়ার ঘোষনা দেয় পরে। পরদিন ভোর হওয়ার আগেই লাদাখের উচ্চ পার্বত্য ভূমিতে ৪০০ কিমি পাল্লার হেভি আর্টিলারি সিস্টেম গুলোর মাজলে বাঁধা কাপড় খুলে ফেলতে দেখা যায় চায়নিজ সেনাদের। প্রায় তিন ব্রিগেড চায়নিজ সেনা পরিবহন বিমানের বিভিন্ন ফ্লাইটে এবং প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরন সহ পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরের দিকে গভীর রাতে রাতে রওনা দিয়েছে একটি বিশালায়তনের ডেস্ট্রয়ার। একটা পরমানু সাবমেরিন এবং দু’টো ফ্রিগেড একে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়া করা একটি মালবাহী জাহাজ আট হাজার কন্টেইনার নিয়ে চায়না থেকে বের হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের লগ বইয়ে একে শুয়োরের চর্বি বলে উল্লেখ করেছে। কন্টেইনার জাহাজটি সমুদ্রের বুক চিড়ে এগিয়ে যাচ্ছে আরব সাগরের ইন্টারন্যাশনাল পানি সীমার মধ্য দিয়ে। এ বিষয়ে জোড়ালো এবং স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া মোড়ল দেশগুলো থেকে আসার কোন খবর অনলাইন/প্রিন্ট কিংবা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে আমস্টারডাম ডিনারপার্টি যখন তুঙ্গে, ঠিক সে সময় কালো রংয়ের দুই ওয়াটারজেট ইঞ্জিন বিশিষ্ট ছোট একটি টু – সিটেড ক্যাবিন ক্রুজার অবস্থান করছিল তেল আবিব বন্দর থেকে সোয়া দু’শো নট দুরে ইসরাইলী নৌ-সীমানার সামান্য বাইরে। এটিকে শেষ পঞ্চাশ নট চালিয়ে আনা হয়েছে পাতলা কাপড়ের একটা পাল, সাগরের বাতাস আর লগির জোরের উপর নির্ভর করে। ভারী প্লাস্টিকের আবরনে ঢাকা নাম পরিচয় বিহীন ছোট্র এ শিপে রয়েছে অতি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রাডার আর জ্যামারের মত হাই ক্লাসিফায়েড কিছু ইনস্টলেশন। রাডারে এর অস্তিত্ব খোজা, রাবনের চুলে উকুন খুজে পাওয়া যেন একই কথা। হোয়াটস আ্যাপের চেয়েও কয়েকগুন উন্নত ভার্সনের কয়েকটা কমিউনিকেশন এ্যাপস রয়েছে এর পিসিতে। কমিউনিকেশনের ভাষা হিসেবে এতে বেছে নেয়া হয়েছে প্রাচীন সংস্কৃতের আঞ্চলিক কোনও ধারাকে। এই এ্যাপস সম্পর্কে বিশ্ববাসীর ধারনা পুরোপুরি শুন্য। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন মুডে চলা এ সফটওয়ারটি ম্যালওয়্যার হিসেবে কাজ করবে তার সুনির্দিষ্ট পিসির বাইরে। মাত্র চারটা পিসিতে এটি সচল। যেসব পিসিতে এটি কাজ করে সেখানকার প্রতিটি কি বাটনে আছে ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর এবং লিভিং রেটিনা স্ক্যানার। গুগল প্লে ষ্টোর একদা একজন অখ্যাত অচেনা বেকুব যুবক থেকে একে নাম মাত্র মুল্যে কিনে নিয়েছিল বিলিয়ন ডলার লাভের আশায়। দুনিয়াজুড়ে যত কম্পিউটার, ট্যাব আর এ্যান্ড্রয়েড পরিচালিত অপারেটিং সিস্টেম, কিংবা আইওএস ভার্শনে যারা এটি ডাউনলোড করেছিল সেসব ডিভাইস গুলো চিরস্থায়ীভাবে অকেজো হয়ে যায়। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে গুগল প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। পরে নিজেদের ব্যার্থতা স্বীকার করে তারা একে বর্ননা করেছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মেধার নষ্ট বিনিয়োগ হিসেবে। সফটওয়্যার রাইটারকে আর পাওয়া যায়নি। সে নেই হয়ে গেছে।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে অনার্স ড্রপ আউট আকাশ তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আছে তাঁর মিনি ক্রুজারের মনিটরের দিকে। গুগলকে ঘোল খাইয়ে গুল বানিয়ে হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া অচেনা এই চায়নিজ যুবক ছোট্র শিপটির একমাত্র যাত্রী কাম ক্যাপ্টেন। আঞ্চলিক দেশগুলোর ফিশিং বোট থেকে আরও তিনজন এখানে আকাশের সাথে যোগ দেবে। প্রত্যেকের আইডেন্টিটি হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড। ভোর হবার আগেই তেল আবিব বন্দরে নোঙর ফেলার কথা রয়েছে রয়েছে এই দলটির। সর্বসাকুল্যে চারজনের একটা দলের নেত্রীত্ব দিচ্ছে আকাশ যে নিজেই কোনদিন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে উঠতে পারেনি। অথচ বাকি যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই পুরাতত্ত্ববিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাদের পরিচয় তারা সকলেই বন্ধুবর রাষ্ট্র তুরস্কের। তেল আবিবের আমন্ত্রনে একটা খননকার্যে অংশ নিতে এসেছে একই পরিচয়ের আরেকটা গ্রুপ। এরা পেশাদার গোয়েন্দা, কেউ ভুতত্ত্ব জানেনা। তারা অফিশিয়ালি ইজরাইলি বিভিন্ন সাইট ভিজিট করবে।

যত্তসব অদ্ভুতকান্ড আর উদ্ভট গোপনীয়তার কারনে নৌপথে আসা দলটার প্রত্যেকেই চরম বিরক্ত। আকাশকেই বা কেন ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেউ কিচ্ছু জানে না। চায়না এমন এক দেশ যার জনকও চায়নার জন্ম ইতিহাস কিচ্ছু জানেনা। রাষ্ট্রীয় হুকুম না মানার একমাত্র শাস্তি ফায়ারিং স্কোয়াড।

ইসরাইলি অবরোধে এক যুগেরও বেশি সময় আটকে থাকা গাজার বস্তিগুলো থেকে যখন ফজরের আজানের ধ্বনি অব্যাহতভাবে বারুদ আর গোলার গন্ধ চিড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছিল ঠিক সে সময় তেল আবিব বন্দরের জেটিতে অলস দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাচীন আমলের অকেজো প্রায় চল্লিশ চাকার একটি ট্রেইলর। ড্রাইভারের আসনে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে ময়লা, ঝুরঝুরে কাপড়ে আবৃত এক ভবঘুরে বৃদ্ধ। তার দায়িত্ব আকাশ ওয়াহিদ আর তার সংগীদের নিয়ে একটা সেফ হাউজে রাখা। সেফ হাউজে প্রচুর পরিমানে ঘন নাইট্রিক এসিড আছে। ইসরাইল যদি টার্কি এই গ্রুপটার যে কাউকে সন্দেহ করে তাকে তৎক্ষণাৎ সেই তরলে গলিয়ে ফেলার দায়িত্ব দেয়া আছে বুড়োর উপর। এই কাজে তাঁর অভিজ্ঞতা গত ৪০ বছরের। সেফ হাউজে পৌছার ঠিক এক ঘন্টা পরে কালো টিন্টেড গ্লাসে ঢাকা জিপে তুলে শুধুমাত্র আকাশকে জেরুজালেমের নির্দিষ্ট একটি আন্ডারগ্রাউন্ড অফিসে পৌছে দেয়া এবং তা অবশ্যই ভোরের আলো ফুটবার আগেই সারার দ্বিতীয় আরেকটি কাজ আছে। যিনি এ কাজটি নিজে করছেন তিনি আর কারো উপর ভরসা করতে পারেনি। তিনি মোসাদের দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যাক্তি। তিনি জানেন না, মোসাদ চিফ এ কথা জানেন কিনা !!

অন্যদিকে তেল আবিব বিমানবন্দরে আজ যেন পা ফেলার জায়গা নেই। প্রতি কুড়ি সেকেন্ড একটি করে বিমান নামছে। আটটি রানওয়ের সাতটিতেই বিমান নামানো হচ্ছে। সারা বিশ্বের সকল ইহুদিকে দেশে ফেরার গোপন নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে এও নিশ্চিত করা হয়েছে ইসরাইলে তারা নিজেদের বিপন্ন মনে করলে বিকল্প স্টেট গঠন করা যাবে বিশেষ বন্ধু দেশের সহায়তায়। দক্ষিন এশিয়ার প্রচন্ড জনবহুল একটি দেশের তিনটি পার্বত্য জনশুন্য প্রায় জেলা দখল করতে সময় লাগবে ঘন্টাখানিক। সো ভয়ের কিছু নেই। দুটো কারনে এতবড় ঘটনা ঘটছে। দুটোই গোপন। ইসরাইল একই দিনে বিশ্বের কয়েক হাজার প্রত্নতত্ত্ববিদ আমন্ত্রন করেছে কিছু একটা দেখাতে। ডেলিগেটদের বিমান নামছে। ইহুদিদের আজ বিশেষ বিশেষ দিন। তাদের প্রভু ত্রাণকর্তা শীঘ্রই তাদের মাঝে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আকাশ, নৌ আর স্থল সীমান্তের প্রতিটি প্রতিট ইঞ্জিতে শুধু নজরদারিই বাড়ায়নি ইসরায়েল বরং কাটতারের বেড়ার আশ পাশেও মাটিতে লুকিয়ে রেখেছে হিট সেন্সর। ফলে মানুষ কেন একটা ইদুরের পক্ষেও ইসরায়েলে অস্বাভাবিক উপায়ে প্রবেশ অসম্ভব। এইসব হুড়োহুড়ির মধ্যেই অত্যন্ত সাদামাটা ভাবে নামলেন জন ম্যাককেইন এবং ফেডারেল ব্যাংক অব আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ( যেখানে বিশ্বের প্রায় সকল রিজার্ভ লিকুইড থাকে এবং যা ব্যাক্তি মালিকানাধীন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর যুদ্ধ ব্যায়ের সিংহভাগ বহন করে এই ব্যাংকটি এবং বিনিময় হিসেবে চায় ইসরায়েল নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম। আজ সেই মাহেন্দ্রের পঁচাত্তর তম বার্ষিকী। বিশেষ এই দুজনকে তুলে নেয়া বুলেট এবং মাইন প্রটেক্টেড গাড়িটি বের হবার জন্য মুল এক্সিটের দিকে না গিয়ে, শাটার খোলা একটি রুমে ঢুকে পড়ল। জন মেককেইন, ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান যখন মিনিট কুড়ি পরে আন্ডারগ্রাউন্ডের বিশেষ নিউক্লিয়ার প্রটেক্টেড শিল্ড বসানো ঘরটিতে প্রবেশ করেন তার মাত্র এক মিনিটেরও কম সময় আগে বাংলাদেশী বংসদ্ভুত চায়নিজ সেই ছেলেটিকে এখানে নিয়ে আসেন মোসাদের সেই ডেপুটি চিফ।
**
২৬/০৮/১৭ ইং

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক দেশজনতা ডটকম