কবি নজরুলের কবিতা এখনও শোষণ-বঞ্চনা-অবিচার-অনাচার-নিপীড়ণের বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগায়– তারেক রহমান

আপডেট: মে ২৪, ২০২১
0

জাতীয় কবি নজরুলের কবিতা এখনও শোষণ-বঞ্চনা-অবিচার-অনাচার-নিপীড়ণের বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক-বিএনপি
ও বিএনপি কেন্দ্রীয় দফতরের চলতি দায়িত্বে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে সেব কথা বলেছেন
বাণীটি হুবুহু তুলে ধরা হলো দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য।

বাণী –”২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ, বিংশ শতাব্দীর এক অগ্রণী শিল্প-শ্রষ্টা। শত জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনি দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে করেছেন সমৃদ্ধ ও কালজয়ী। কাজী নজরুল অত্যাচার সয়েছেন ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর।

তাঁর জীবন ছিল দু:সাহসিক অভিযাত্রীর ন্যায়। পারিবারিক সীমাহীন দুঃখ কষ্টের মধ্যে থেকেও নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তিনি ছিলেন বিস্ময়কর বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী, তাঁর ক্ষুরধার লেখনির মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্রণা সুষ্পষ্ট। তাঁর সাহিত্যে উচ্ছাস ও স্বত:স্ফুর্ততা এক অনন্য সৌন্দর্যময়তায় বিশিষ্ট শিল্পরুপ ধারণ করেছে। তিনি যুগান্তরের কবি। তিনি বাংলা সাহিত্যে নবযুগের সূচনা করেন। সুন্দরের প্রেরণাতেই তিনি অন্যায়, অবিচার ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন।

তিনি দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তাঁর কলম সকল স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে এক শাণিত অস্ত্র হয়ে থাকবে। তিনি লিখেছেন ‘কৈরে কৈরে স্বৈরাচারী বৈরী এই বাংলার’ ? তাঁর কবিতা ও গানে মানবতা ও সাম্যের বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ছিলেন একাধারে শ্রমিক, সৈনিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নির্ভিক কণ্ঠস্বর এবং একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক যোদ্ধা।

তিনিই উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তাঁর কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল এবং এখনও শোষণ-বঞ্চনা-অবিচার-অনাচার-নিপীড়ণের বিরুদ্ধে প্রেরণা যোগায়। এছাড়াও তাঁর প্রকৃতি, মানবপ্রেম ও ভক্তিমূলক গান অনন্য বৈচিত্রময় সুর ও বাণীর সংমিশ্রণে এক অনবদ্য স্বপ্নিল পরিবেশ সৃষ্টি করে। যে গানের আবেদন চিরকালীন ও অবিনশ্বর।

তাঁর সৃষ্টিকর্ম আমাদেরকে চিরদিন স্বদেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকল কর্মসূচির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ