করোনা – রোজার মধ্যেও বাড়িতে অভিযান, গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে– মীর্জা ফখরুল

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২১
0

মীর হেলালসহ হাটহাজারীর বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের আহবান মীর্জা ফখরুলের

হেফাজতের ঘটনায় মীর হেলালসহ হাটহাজারীর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের আহবান জানান মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কল্পকাহিনী সাজিয়ে উদ্ভট মামলা দায়েরের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অপরিকল্পিত লকডাউনে বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউনের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়েরের অংশ হিসেবে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও দলের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং হাটহাজারী পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস শুক্কুর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, হাটহাজারী পৌর যুবদলের আহবায়ক মির্জা এমদাদ, সদস্য সচিব নুরুল কবির তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিনসহ তিন শতাধিক নেতাকর্মীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের কোন কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ততা না থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপি-কে দমন ও জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরাতেই সরকার উল্লিখিত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। রোজা ও করোনার মধ্যেও হরহামেশা তাদের বাড়ীতে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে পরিবার-পরিজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে পুলিশ।

নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের থানায় ডেকে নিয়ে হুমকি ও চাপ দেয়া হচ্ছে। মূলত: দু:শাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করতেই সরকার বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে। এমনকি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপউদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে কল্পকাহিনী তৈরীর মাধ্যমে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে তা প্রচার করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদসহ সরকারকে এধরণের হীন অপতৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাই।

সরকারের কোন গণভিত্তি নেই, তাই বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জুলুম-নির্যাতন ও সন্ত্রাসের ওপর নির্ভরশীল। জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে সরকার বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এই সরকার ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছে, আর এই ভয়ঙ্কর ক্রুদ্ধতার বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর।

সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বিভৎস বিকৃত রুপ তীব্র মাত্রা ধারণ করেছে। যারফলে জনসমাজে কারো কোন সম্মান, নিরাপত্তা ও জীবন-যাপনের স্বাভাবিকতা নেই। সারাদেশের সর্বত্র সরকারের উন্মত্ত আচরণ মোকাবেলা করে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক শক্তিকে এগিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই।