“পরীমনির সাথে যা ঘটেছে অবশ্যই অন্যায়, সুষ্ঠু বিচার দাবী করি৷ এটা পরিকল্পিত ঘটনা! ইসলামিক স্কলার আবু ত্ব-হা মুহাম্মাদ আদনানসহ তিনজনের গুমের ঘটনার মোড় ঘোরাতেই পরীমনির ঘটনাটি এভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে৷”
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠক বোরহান উদ্দিন লিখেছেন, পরীমনির ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কিছুই নয়৷ তবে রাফসানজানি খন্দকার সজলের বিশ্বাস নাসির ইউ মাহমুদ নির্দোষ৷ তিনি লিখেছেন পরীমনির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নাসির নির্দোষ, এত বড় একজন ব্যবসায়ী তার ক্লাবের বারে এত লোকের সামনে পরীমনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করবে, এটা বিশ্বাস করা কষ্টকর৷
পাঠক জামান নুরুলের কাছে নাকি মনে হয় না যে পরীমনিকে কেউ জোর করে বোট ক্লাবে নিয়েছিল!পরীমনির ঘটনা সম্পর্কে নিজের মতামত জানিয়ে পাঠক জাবেদ ওমর লিখেছেন, এটা একটা পরিকল্পিত ঘটনা!
পরিমনির সাথে যা ঘটেছে এটা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে এবং এর বিচার সুষ্ঠু বিচার দাবী করি৷
ইসলামিক স্কলার আবু তহা মোহাম্মদ আদনান সাথে তিন জনের গুমের ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরানোর জন্য পরিমনির ঘটনাটি এভাবে হাইলাইট করা হচ্ছে৷ এভাবে জলজ্যান্ত চারজন মানুষের গুমের ঘটনাকে মিডিয়া তেমন ভাবে প্রচার করছে না৷ পাঠক জাবেদের সাথে একমত তানভীর আহমেদ, আজমীর হাসান তারেকও৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় অভিনয় শিল্পী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার রিপোর্টিটিতে পাঠক রোহান ইসলাম রনি লিখেছেন, আবু -ত্ব-হা -মুহাম্মদ আদনান একজন আলেম আর একজন চিত্র নায়িকা পরীমনি৷ উভয়ই নাগরিক, উভয়ই জুলুমের শিকার, উভয়ই কমবেশি পরিচিত৷ পার্থক্য হল একজনের জন্য মিডিয়ার কৌতূহল আর আগ্রহের শেষ নেই,আর অন্যজন আদৌ বেঁচে আছেন কিনা জানা নেই৷
আর মোহাম্মদ আবদুর রাশেদ লিখেছেন, আবু ত্ব-হা -মুহাম্মদ আদনান রংপুর থেকে ঢাকায় আসার পথে গুম হয়েছেন৷ প্রশাসন ও মিডিয়া একজনের হত্যা চেষ্টায় যতটা আগ্রহী হয়েছে… তার ন্যূণতম চেষ্টা গুম হওয়া হুজুরসহ ৪ জনের জন্যও করেনি৷ তাদের মৌলিক অধিকারটুকুও আজ ধুলন্ঠিত হলো এই প্রশাসনের কাছে৷
পাঠক পারভেজ আলম, ইসমাইল হোসেন আবিরও আবদুর রাশেদের সাথে প্রায় একই মত পোষণ করেন, জানিয়েছেন ফেসবুক পাতায়৷
এদিকে পাঠক নাজমুল হোসেন লিখেছেন, পরীমনির ঘটনা সবাইকে দেখিয়ে দিলো, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকলেও, ক্লাবগুলো গভীর রাত পর্যন্ত খোলা৷ করোনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায়, কিন্তু নাইট ক্লাবে যায় না!
সরকারের সমালোচনা করে রসমত আলী মন্তব্য করেছেন, করোনা শুধুমাত্র স্কুল, কলেজে৷ সরকার শুধু এইগুলোই বন্ধ করতে পারে৷ তা না হলে নাইট ক্লাব চালু থাকলো কিভাবে? নাইট ক্লাবের আয়োজক এবং অংশগ্রহণকারী সকলকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে৷ আর নাইট ক্লাবগুলোকে অবৈধ কর্মকান্ডের আখড়া বলে মনে করেন পাঠক আর এম রহমান আরিফ, নাজমুসসাকিব জিহাদী, মাহবুবুর রহমানের মতো অনেকে৷ এসবের জন্য তারা দেশের আইন-শৃঙ্খলা বিভাগকেই দায়ী করছেন৷
তবে পুরোপুরি ভিন্নমত নাজমুল হোসেন সুমনের৷ তার ধারণা নাসির সাহেবকে আটকানোর জন্যই নাকি পরীমনিকে ব্যবহার করা হয়েছে৷