কুয়েতের লিবারেশন টাওয়ার এখন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত

আপডেট: জুন ২৪, ২০২১
0

ইমরান শিকদার, কুয়েত সিটি:

লিবারেশন টাওয়ার কুয়েত বিশ্বের ৬ষ্ঠ তম সুউচ্চ টাওয়ার । এটি কুয়েতের রাজধানী ‘কুয়েত সিটি’র প্রাণকেন্দ্র মুরগাবে অবস্থিত ।

দৃস্টিনন্দন এই টাওয়ারটি দেখতে প্রতিদিনই দুরদুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভীর জমায়। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫/২৬ তারিখ কুয়েতের মহান স্বাধীনতা দিবস উৎযাপন উপলক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য এটি খুলে দেওয়া হয় । তখন লিপ্টের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা সুউচ্চ টাওয়ারে উঠানামা করেন এবং উপর থেকে পুরো কুয়েতের সৌন্দর্য অবলোকন করেন ।

কেননা উপর উঠার পর একটি নির্দিস্ট স্হান রয়েছে যেখানে দাঁড়িয়ে থাকলেই সেটি অটোমেটিকভাবে ঘুরপাক খেয়ে পুরো কুয়েত কে দেখিয়ে দেয় ধীর গতিতে।

স্বাধীনতা টাওয়ার কুয়েত শহরে অবস্থিত একটি ৩৭২ মিটার উঁচু টেলিযোগাযোগ টাওয়ার, যা দেশটির দ্বিতীয় সুউচ্চ কাঠামো এবং বিশ্বের ৩৯তম উচ্চতম ভবন। এই টাওয়ারটি সালেহ আলআবদালি তৈরি করেছিলেন। টাওয়ারটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ছিলো না । টাওয়ারের সাথে সংযুক্ত ভবনে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অফিস রয়েছে; এছাড়া এতে একটি সরকারী সেবা কেন্দ্র রয়েছে যাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক তথ্য মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সরকারী সেবা দেয়া হয়।

২ আগস্ট, ১৯৯০ সালে কুয়েতে ইরাকি আগ্রাসনের আগে কুয়েত টেলিযোগাযোগ টাওয়ারটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আগ্রাসন সংঘটিত হওয়ার সময় নির্মাণ কাজ প্রায় অর্ধেক সম্পূর্ণ হয়েছিল, আগ্রাসন শুরু হলে নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়। তবে কাঠামোর কোনও ক্ষতি হয়নি এবং ১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ইরাকি বাহিনীকে বহিষ্কার করার পর পুনরায় এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৯৩ সালে সমাপ্ত হওয়ার পরে, এই টাওয়ারটির নামকরণ করা হয়েছিল স্বাধীনতা টাওয়ার, যা ইরাক থেকে কুয়েতের মুক্তির প্রতীক।