যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার রিপোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে বানোয়াট তথ্য দেয়াকে আপত্তিকর হিসেবে বর্ণনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে ২ দিন ব্যাপী শান্তি সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে।
জাপান থেকে টিকা আসার ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার বাংলাদেশে ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার (১১ জুলাই) তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বিদেশ, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) প্রকাশিত মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০২০ এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে উল্লেখিত কিছু বিষয় নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও হতাশার কথা জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে (এএইচসি) বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ‘গৃহবন্দি’ শব্দটি ব্যবহার করা চরম বিভ্রান্তিকর।
তাকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে, বেগম জিয়ার ভাইয়ের আবেদনে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান ১৮৯৮ অনুযায়ী, তার কারাগারের সাজা স্থগিত করেছে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে বাড়িতে চিকিৎসা এবং বিদেশ ভ্রমণ করবে না শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এটি উল্লেখ করা হয়েছিল যে, তার সাজা স্থগিত এবং জেল থেকে মুক্তি, প্রাথমিক ছয়-মাসের জন্য প্রযোজ্য, পরে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর এবং ২০২১ সালের মার্চ মাসে দু’বার এটি বাড়ানো হয়েছিল।
বৃটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে বলা হয়েছে, এ জাতীয় আইনি সমস্যা নিয়ে কোনও বিভ্রান্তির ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করা বাঞ্ছনীয়। আরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যুক্তরাজ্য সরকারের যে কোনও দলিল ও বাংলাদেশ সরকার বা ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কোনও প্রকারের অন্তর্নিহিত ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে।