খালেদা জিয়া -তারেক রহমান ছাড়া দেশে আর কোন জাতীয় নির্বাচন হবে না– শওকত মাহমুদ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
0

দেশজনতা ডটকমকে দেয়া সাক্ষাতকারে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেছেন, ‘ রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যেভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেভাবে বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমান রাষ্ট্রের দ্বারা যে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার তা বিশ্বের কাছে স্বীকৃত। এ অবস্থায় আমরা পরিস্কার ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশে আর সেই ধরনের নির্বাচন হবে না। যে নির্বাচনে তারেক রহমান বা খালেদা জিয়া থাকবেন না। আমাদের খুব পরিস্কার কথা -নির্বাচন একটা হবে। সেই নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন হতে হবে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়। আর সেই নির্বাচনে অবশ্যই দেশনায়ক তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া অংশগ্রহন করবেন। তারেক রহমান খালেদা জিয়া ছাড়া আর একটাও জাতীয় নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। ্আর সেটা হতে দেয়াও সমীচিন হবে না। তাহলে দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে। ‘

জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল দেশ জনতা ডটকমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দেশের বরেণ্য এ সাংবাদিক এসব কথা বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী নির্বাচনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার জন্য নিদের্শ প্রদান করেছেন। অপরদিকে বিএনপি -জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতি সরকার আরো বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ অবস্থায় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রস্তুতি ও চিন্তা -ভাবনার বিষয়ে দেশ জনতা ডটকমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জনাব শওকত মাহমুদ দেশজনতা ডটকমকে বলেন , বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আগামী ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ বৈঠক হবে। ১৪ সেপ্টেম্বর ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক হবে। ১৫ তারিখ যুগ্ম মহাসচিব ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং ১৬ সেপ্টেম্বর নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন তারেক রহমান। সেখানে সবার মতামত নিয়ে তারেক রহমান জাতীয় নির্বাচনের জন্য সিদ্ধান্ত দিবেন।

শেখ হাসিনা সরকারের অধিনে ভোট জালিয়াতির নির্বাচন সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দিবালোকের মতো উন্মোচিত হয়েছে। এই সরকারের অধিনে পাতানো কোন কোন নির্বাচনে যাওয়া সমিচিন হবে বলে আমি মনে করি না। এই সরকারকে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। একটি গ্রহনযোগ্য ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবী আদায় সময়ের দাবী হয়ে ওঠেছে।

মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে তারেক রহমানকে দন্ড দেয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে যদি গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে।দু’টি সামরিক শাসনকে আপোষহীন আন্দোলনের মাধ্যমে পরাজিত করে বিশ্বে অনন্য নজির তৈরী করেছে। তাকে এবং তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না। দলের অতিস্ত্ব রক্ষায়ও আপোষহীন আন্দোলন এখন সময়েরা দাবী ।

শওকত মাহমুদ আরো বলেন, তৃনমূলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জনগনকে সাহস জুগিয়ে রাজপথে নামতে বিএনপি সঠিক পথ বেছে নিবে। বিএনপিকে আন্দোলন কর্মসূচি এমনভাবে তৈরী করতে হবে যাতে জনগন সম্পূর্ণভাবে স্বতর্ফূতভাবে অংশগ্রহন করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে সরকারের এক লক্ষ কর্মীর ব্যাপারে বলেন, এসব ডিজিটাল ষড়যন্ত্র কোন কাজেই আসবে না সরকারের।