বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ইতিহাসে অনন্য হয়ে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদের মৃত্যুর পর জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক কাউন্সিলে বিএনপি মহাসচিব শোক প্রকাশ করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ আজকে সকালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন যিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক অন্যান্য ভুমিকা পালন করেছেন, ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র পুনুরদ্ধারের জন্যে সর্বসম্মতভাবে যে নির্বাচন হয়েছিলো সেই নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচন জাতিকে উপহার দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন।”
‘‘ আমরা বিশ্বাস করি, এদেশের মানুষ যতদিন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করবে ততদিন তাকে স্মরণ করবে। তার যে ভুমিকা নিসন্দেহে দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসের অনন্য হয়ে থাকবেন।”
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান মির্জা ফখরুল।
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর।
নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বতীকালনি সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়া্র পর রাষ্ট্রপতি করেছিলো তাকে।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ।