গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তিন বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দুই স্ত্রী ও বোনসহ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৯সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা কাজের লোকের ছদ্মবেশে বিভিন্ন বাসা বাড়ির খোঁজ নিয়ে ছক কষে ডাকাতি করে আসছিল।
সোমবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন জিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ- দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের জগন্নাথপুর গ্রামের রবি দাস (৪৫), মাদারীপুরের পাঁচচর এলাকার ফারুক (৩৫), ফারুকের স্ত্রী শিল্পী আক্তার (৩০) ও নার্গিস আক্তার (২৫), ফারুকের বোন রিনা আক্তার (৫০), সুনামগঞ্জের চন্দ্রপুর এলাকার ইমন উদ্দিন (২৫), কিশোরগঞ্জের গাগটিয়া আটরা এলাকার চন্দন চন্দ্র দাস (৩৬), গাজীপুর মহানগরীর শরীফপুর এলাকার হাবিবুর (৪৮) এবং নোয়াখালীর চরকাঁকড়া এলাকার জসিম (৪৫)।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলের ছিকোলিয়া এলাকায় বাদল দাশের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর দু’দিন পর তালোটিয়ার মজিবুর রহমান ও চলতি মাসের ৭ তারিখে হারাধন চন্দ্র শীলের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল লুণ্ঠন করে। এসব ডাকাতির ঘটনার রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামে পুলিশ সদস্যরা। গত কয়েক দিনে পুলিশ গাজীপুরসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির কাজে সহযোগী তিন নারীসহ ৯ ডাকাতকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি করা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, পিতলের ২ টি মূর্তিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত রামদা’, কাউয়াল ও সেলাইরেঞ্জ জব্ধ করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা জেলখানায় পরষ্পরের সঙ্গে পরিচয়ের পর সংগঠিত হন। জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়ে তারা বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়িতে কাজের লোকের ছদ্মবেশে খোঁজ খবর নিয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন। সোমবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।