গাাজীপুর প্রতিনিধি: পারিবারিক কলহের জের ধরে গাজীপুরে গার্মেন্টস কর্মী স্ত্রীকে মারধোর করে সাত টুকরা করে খুন করার পর লাশ বস্তায় ভরে জঙ্গলে ফেলে রেখেছে নিহতের স্বামী। পুলিশ রবিবার বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার বোকরান মনিপুর এলাকা থেকে নিহত গৃহবধূ রেহানা আক্তারে(২০) বস্তাবন্দী সাত টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে
। নিতহ রেহানা সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কচির গাতি গ্রামের মালেকের কন্যা। ওই ঘটনার সাথে জড়িত নিহতের স্বামী একই এলাকার মৃত আব্দুল বাতেনের ছেলে জুয়েল আহমেদকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, জুয়েল তার বড় ভাইয়ের শালিকা রেহানার সঙ্গে প্রেম করে প্রায় ২ বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করে। পরে তারা গত ২মাস ধরে গাজীপুর সদর উপজেলার বোকরান মনিপুর এলাকায় জৈনক জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় ফকির ফ্যাশন লিমিটেডে শ্রমিকের কাজ করতো। গত ৪মার্চ সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহের জের ধরে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জুয়েল তার স্ত্রী রেহানাকে মারধোর করলে করে।
এতে রেহানা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে গভীর রাতে জুয়েল দাড়ালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রী রেহানাকে প্রথমে গলা কেটে দ্বিখন্ডিত করে খুন করে। পরে কোমর ,হাটু ও হাত কেটে লাশটি সাত টুকরা করে। পরে লাশের টুকরা গুলো কাপড়ে মুড়িয়ে তিনটি বস্তায় ভরে পাশের বাড়ির সেপটি টাংকির উপরে জঙ্গলের মধ্যে বস্তা গুলো ফেলে রাখে। রবিবার লাশ পচে গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয় এবং নিহতের স্বামী জুয়েলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের নিকট হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় জুয়েল। পুলিশ সাত টুকরা লাশটি এবং হত্যাকান্ডে ব্যাবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
###
মোঃ রেজাউল বারী বাবুল
গাজীপুর।