গাজীপুর সংবাদদাতাঃ গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস এবার বেপরোয়া গতিতে মহাসড়ক ছেড়ে লোহার গ্রীল ভেঙ্গে উঠে পড়েছে সড়ক বিভাজনের উপর। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও অল্পের জন্য বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাসটি। শনিবার দুপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় জয়দেবপুর থানা সংলগ্ন এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে শ্রীপুরের জৈনাবাজার যাচ্ছিল তাকওয়ার পরিবহনের একটি বাস। পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোতাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এতে বাসটি লোহার গ্রীল ভেঙ্গে সড়ক বিভাজনের উপর উঠে থেমে যায়। ঘটনার সময় পিছনে অন্য কোন যানবাহন না থাকায় বাসটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। তবে বাসের বেশকয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। আতঙ্কিত যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে পড়েন। স্থানীয়রা আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যান।
হাইওয়ে পুলিশের নাওজোর থানার ওসি শাহ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তাকওয়া পরিবহনের চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ট্রাফিক আইন না মেনে ওই পরিবহনের গাড়িগুলো বেপরোয়াভাবে চলাচল করায় প্রায়শ: ঘটছে দূর্ঘটনা। গাড়িগুলোর রুট পারমিট নেই। তাছাড়া এ পরিবহনের অধিকাংশ চালক অদক্ষ এবং তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বৈধ কাগজ পত্র নেই। যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাদের লাঞ্চিত করার অহরহ অভিযোগ রয়েছে তাকওয়া পরিবহনের চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে। তারা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছে মতো যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছে। শহরের যানজটের জন্য এসব অবৈধ তাকওয়া পরিবহনকে দায়ি করা হয়ে থাকে। জেলার আইন শৃঙ্খলার সভায় এসব বিষয় নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ওই সড়কসহ শহর এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের চলাচল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় প্রশাসনের সামনে দিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে এ পরিবহনের বাসগুলো। কিন্তু নেয়া হচ্ছে না কোন কার্যকর ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই সকালে জেলা শহরের শিববাড়ি এলাকায় ভাড়া নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে তাকওয়া পরিবহনের বাস থেকে এক যাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে চাকায় পিষে হত্যা করে। পুলিশ এ ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।