গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওর বিকল্প চাওয়ায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ ও নিন্দা

আপডেট: জুন ১৪, ২০২১
0

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যাক্তি নির্ধারনের সুপারিশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে।

মহিলা পরিষদ বলেছে , আমরা তীব্র ক্ষোভ ও গভীর বিষ্ময়ের সাথে জানতে পারলাম যে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যাক্তি নির্ধারনের সুপারিশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছে। এই ধরনের সুপারিশ স্বাধীন বাংলাদেশে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থী, নারীর মানবাধিকার পরিপন্থী ও নারীর ক্ষমতায়ন পরিপন্থী।

এই ধরনের সুপারিশ একজন নারীর জন্য যেমন অবমাননাকর ঠিক একই ভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যেও অপমানজনক। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংসদীয় কমিটির এ ধরনের সুপারিশ গ্রহণ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক ।

বাংলাদেশে নারী ইউ এন ও বলে কোন পদ নেই। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতকার্য হবার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে নারী পুরুষ বিভাজন সংবিধান বিরোধী।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এই ধরনের ধর্মীয় মৌলবাদী বিভিন্ন অজুহাতকে প্রতিহত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। একই সাথে মুক্তিযুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের এই সুপারিশ বাতিল ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীর ক্ষমতায়নকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য এবং নারীকে অবদমিত করে রাখার জন্য যেকোন কূটকৌশলকে প্রতিহত করার জন্য দেশের নারী সমাজ ও নাগরিক সমাজের প্রতি আহবান করছে।