‘প্রতিটি ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ স্টর্ম সুয়ারেজে দেয়া যাবে না। আগামী ১লা সেপ্টেম্বর থেকে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতন এলাকায় পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ ড্রেনে পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকায়ও ব্যবস্থা নেয়া হবে’
আজ বুধবার (৬জুলাই) দুপুরে ৩৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নুরের চালায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নবগঠিত ১৮টি ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসি মেয়র এসব কথা বলেন।
ড্রেনেজ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র বলেন, ‘ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক ছাড়া শুধু রাস্তা করলে হবে না। স্থায়ী সমাধানের জন্য রাস্তা নির্মাণের পূর্বে ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। নুরের চালার সুতিভোলা খালের পাড় থেকে নুরের চালা বাজার মসজিদ পর্যন্ত ১৪২২মিটার ড্রেনেজের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রেনের কাজ শেষ হলেই রাস্তার কাজ করা হবে।’
নূরের চালার এই রাস্তা এই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির আওতায় নবগঠিত ১৮ টি ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাট, পানি নিষ্কাশন ও খাল খননের জন্য সরকার ৪,২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় নুরের চালা মসজিদ থেকে সুতিভোলা খাল পর্যন্ত ১৪২২ মিটার পানি নিষ্কাশন নালা নির্মাণ করছে ডিএনসিসি। সেনাবাহিনীর ২৪ কনষ্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নত্তোরে মেয়র বলেন, ‘এই শহর শুধু মেয়রের নয়, এ শহর শুধু কাউন্সিলরের নয়, এই শহর সবার শহর। সিএস (CS) পর্চা অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করে আমরা খালগুলোকে উদ্ধার করব। মহানগর জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না, জলাবদ্ধতায় এই ঢাকা ডুবে যাবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী খালের সীমানা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলেছে। খালগুলো উদ্ধারের পর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য শহর গড়ে তুলবো।’
সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা জলাবদ্ধতা এবং যানজটের সমস্যার সমাধানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই রাস্তার কার্যক্রম করছি। শহরের রাস্তাগুলো ২০ ফিট প্রশস্ততার কম হলে সেখানে সিটি কর্পোরেশন কোন ধরনের অর্থায়ন করবে না, কোন ধরনের রাস্তা নির্মাণ করবে না।’
এসম মেয়র আরো বলেন ‘এবার ঈদে ১২ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। কোরবানী বর্জ্য ১২ ঘণ্টায় পরিষ্কারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। ১০ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে কাজ করবে।’
ডিএনসিসির কয়েকটি অঞ্চলে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোরবানির স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।