এম সিরাজুল ইসলাম চরফ্যাশন(ভোলা)
পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে চরফ্যাশনে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাটগুলো।
উপজেলার পৌর সদর, শশীভূষণ, দুলারহাট, দক্ষিণআইচা বাজার, কেরামতগঞ্জ, জনতাবাজার, ভূইয়ারহাট, হাজিরহাট, তালুকদারহাট, শিবারহাট,বাজর সহ প্রায় ২০টি কোরবানির পশুর হাট এখন জমে উঠেছে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অনেকেই আগে থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করতে হাটে এসে ভিড় জমাচ্ছেন। তারা ধারণা করছেন সামনের হাটগুলোতে কোরবানির পশুর দাম বৃদ্ধি পেতে সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে অনেকেই কোরবানির পশু ক্রয় করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। গরু বিক্রেতারা ন্যায্য মূল্যের চেয়ে দাম অনেক বেশি চাওয়া কোরবানির পশু কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর গো-খাদ্েযর দাম বেশি হওয়ার কারনে গরুর দাম একটু বেশি।
শশীভূষণের এই কুরবানীর পশুর হাটে থানা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ আসেন গরু ছাগল কেনা-বেচার জন্য।
এখন পর্যন্ত ভারতীয় কোন গরু এ হাটে না আসার কারণে কিছুটা ভালো দামে বিক্রয় করতে পারছেন বলে জানান বিক্রেতারা।
সামনের হাটগুলোতে আরো ভালো দামে কোরবানী পশু বিক্রয় করতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।
দুলারহাট বাজারের ক্রেতা আলী হোসেন বলেন, আমাদের বাজারে প্রচুর গরু উঠেছে তবে দাম বেশী রয়েছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এখনও গরুর ক্রয় বিক্রয় কম হচ্ছে।
চেয়ারম্যান বাজারে ইজারাদার বলেন, গরু এখনও পুরোদমে বিক্রি হচ্ছেনা। আশাকরি এবার ভাল গুরু বেচা-কেনা হয়েছে।
এ বিষয়ে গরুর হাট ইজারাদার কামাল মিয়াবলেন, আমরা নিরাপত্তা চাই। যাতে সুষ্ঠ পরিবেশে এ হাটে ক্রেতা বিক্রেতারা গরু ছাগল বেচেকেনা করছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান বলেন, আমি ৪ থানার ওসিদেরকে নির্দেশনা দিয়েছি সংশ্লিষ্ট বাজার গুলোতে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে।