চিলির রেকর্ড ভাঙা খরায় জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়েছে তা খুব স্পষ্টভাবে ধরা পড়লো । চিলিতে শাস্তিমূলকভাবে এক দশকব্যাপী চলমান খরা এই জুলাইয়ের তীব্রতার কারণে খারাপ থেকে খারাপের দিকে চলে গেছে । একটি মাস যা সাধারণত রাজধানী সান্তিয়াগোতে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের মধ্যবর্তী শীতকালীন আবহাওয়া নিয়ে আসে।
কিন্তু এই বছর বৃষ্টিপাতের অভাব শহরের উপরে উঁচু এবং সাধারণত তুষার আবৃত আন্দিজকে ছেড়ে দিয়েছে, জলাশয়ের স্তর কম এবং খামারের মাঠ শুকিয়ে গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দৃশ্যগুলো বিশ্ব উষ্ণায়নের স্পষ্ট প্রমাণ।
মঙ্গলবার, একটি কেন্দ্রীয় সান্তিয়াগো আবহাওয়া কেন্দ্র গত বছরের ১৮০ মিমি এবং গড় পরিমাণ ২৫২ মিমি এর তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৮ মিমি (৩ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে, চিলির আবহাওয়া দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী।
বিজ্ঞানমন্ত্রী আন্দ্রেস কুভ মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পানির মজুদ ক্রমাগত হ্রাস এখন “জাতীয় অগ্রাধিকার”।
তিনি আরো বলেন, সরকার পানি সংরক্ষণ ও সঞ্চয়, বিনিয়োগের মাধ্যমে পানির উপসচিবের জন্য একটি পদ সৃষ্টি এবং জল ব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক কর্মী গোষ্ঠী, সেইসাথে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সংকট মোকাবেলা করছে।তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ইতিমধ্যেই অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ রয়েছে এবং এটি জলবায়ু প্রমাণ।” “আমরা বৃষ্টিপাতের একটি উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখতে পাচ্ছি এবং এটি পানির ঘাটতি সৃষ্টি করছে।”
সোমবার, জাতিসংঘের জলবায়ু বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছিলেন যে চরম তাপ প্রবাহ, যা অনেক আগে প্রতি ৫০ বছরে একবার আঘাত হানে না, এখন প্রতি দশকে একবার এই অবস্থার সম্মুখ্খীন হচ্ছে চিলি।
খরা এবং বৃষ্টিপাতও ঘন ঘন হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্ত:সরকার প্যানেল (আইপিসিসি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনহাউস গ্যাস নি:সরণের মাধ্যমে মানুষ “দ্ব্যর্থহীনভাবে” দায়ী।
কোভ বলেন, চিলি, একটি দীর্ঘ পাতলা জাতি যার উত্তরে পৃথিবীর শুষ্ক মরুভূমি, হিমবাহ, বন ও জলাভূমি এবং দক্ষিণে অ্যান্টার্কটিক, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রচুর প্রমাণ রয়েছে।