বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনে সহযোগিতার আবেদন নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে আবেদন জমা দিতে যাওয়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রতিনিধি দলকে আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার। এর আগে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে জামায়াতের চিঠি নিয়ে ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে গেট থেকে তাদের আটক করা হয়।
তাদের আটকে রাখা হয়েছিল বলে শুরুতে জামায়াতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের ভাষ্য, আবেদন গ্রহণের আগে তাদের পরিচয় যাচাই করা হয়েছিল।
জামায়াতের এক বিবৃতিতে বলা হয়,অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ এবং আমিরে জামায়াতসহ আটক সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ৫ জুন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি ও সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে অনলাইনে আবেদন করা হয়। আজ বিকেলে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএমপি কার্যালয়ে গেলে তাদেরকে ডিএমপি অফিসে ঢুকতে না দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এরপর নাটকীয়ভাবে পুলিশের এডিসি হারুনুর রশিদ এবং বিপ্লব কুমারের নেতৃত্বে আইনজীবীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ডিএমপির রমনা জোনের সহকারী কমিশনার সালমান ফারসি বলেন, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় ‘যাচাই-বাছাই’ করা হচ্ছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন্স) বিপ্লব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে জানান, আটক ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করার পর আবেদন রেখে ওই চারজনকে ৬টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, জামায়াতের বিভিন্ন নেতার নামে নানা মামলা রয়েছে। যারা এসেছিলেন, তারা কোনো মামলার আসামি কি না, তাদের বিরুদ্ধে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে কিছুটা সময় লেগেছিল। পরে তাদের আবেদন রেখে দেওয়া হয়। এরপর তারা চলে যান।
আগামী ৫ জুন বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় জামায়াত। সেই কর্মসূচি পালনে সহায়তা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেইলেও আবেদন পাঠিয়েছেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের অফিস সেক্রেটারি মোবারক হোসাইন।