নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য হাসিবুল বাশার হাসিবকে (২৫) গলাকেটে হত্যার কথা স্বীকার করে প্রধান আসামি হাছান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১১ জুলাই) বিকেলে দুই আসামি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নবনীতা গুহ’র আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত রোববার (১০ জুলাই) রাতে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাড়াই গোবিন্দ এলাকা থেকে ছাত্রলীগ নেতা হাসিব হত্যাকাণ্ড মামলার ১ ও ৩ নম্বর আসামি হাছান ও জয়কে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলার ১০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার মধুপুর গ্রামের সামছুল হক ডাক্তার বাড়ির মানিক মিয়ার ছেলে রকি (২৬) ও ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি উপজেলার মহবুল্লাপুর গ্রামের চৌধুরীপুতেরবাড়ির আব্দুল হাইয়ের ছেলে বাহার উদ্দিনকে (২২) গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হলো। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর (এসপি) মো: শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, এদের মধ্যে ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
হাসিব হত্যাণ্ডের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের চাচা সিরাজুল ইসলাম ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যামামলা করেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপালপুর ইউনিয়নের ছোবান মার্কেটের পাশে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবকে একা পেয়ে মহিবউল্লাপুর গ্রামের হাছানের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে হাসিবকে এলোপাথড়ি কুপিয়ে ও গলা কটে হত্যা করে।
নিহত হাসিব গোপালপুর দুলাল চেয়ারম্যানের বাড়ির মৃত আবুল বাসারের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাছান-মাসুম এবং শিশু রাসেল-সোহাগ গ্রুপের মধ্যে দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।