টিকা নিয়েও এতো নৈরাজ্য চলছে যে সরকারের এক মুর্হূতও ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়– মীর্জা ফখরুল

আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১
0

করোনার টিকা প্রদানের সরকারের ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “ করোনা মোকাবিলায় আজকে এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যেটাকে বলা যায়, করোনা মোকাবিলায়-টোট্যাল ম্যানেজমেন্ট ফেইলিউর। এর ফলে আজকে টিকা প্রদানে ম্যানেজমেন্টের প্রচন্ড রকমের যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সেই নৈরাজ্যের কারণে গোটা জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা পত্র-পত্রিকায় তা দেখতে পারছি।”
“ আমরা আবারো সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ করে এই করোনা মোকাবিলার জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করে সত্যিকার অর্থেই জনগনের জন্য কাজ করুন।”

বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ অঙ্গসংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মরহুমের কবর জিয়ারত ও সুরা ফাতেহা পাঠ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের ঢল

লকডাউন তুলে নেয়ার পর সংক্রমণ কমছে না, লকডাউন তুলে নেয়া ঠিক হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি প্রথম থেকে বলছি যে, আসলে করোনা মোকাবিলায় সরকারের টোট্যাল ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। দিজ গর্ভামেন্ট হেজ ফেইল্ড টোট্যালি টু ম্যানেজ করোনা।”
“ অপরিকল্পিত লকডাউন, অপরিকল্পিত টিকা ব্যবস্থা, অপরিকল্পিত মানুষের জীবন ব্যবস্থা করা –সব মিলিয়ে এই সরকারের আর এক মুহুর্ত ক্ষমতা থাকা ‍উচিত নয়। দে শোড বি রিজাইন ইমিডেইটলি।”
আরাফাত রহমান কোকোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ক্রীড়া সংগঠন এবং ক্রিকেটের উন্নয়নের তার একনিষ্ঠ ভুমিকার কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ১১টায় বিএনপি মহাসচিব নেতা-কর্মীদের নিয়ে বনানী কবরাস্থানে তার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুস্পস্তবক অর্পন করেন।

এই সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাইফুল্ আলম নিবর, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের ফজলুল রহমান খোকনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোকো। পরে ২৮ জানুয়ারি তার মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরাস্থানে দাফন করা হয়।
কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও বিকালে চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির।