ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট মামলার ভয়ে সংবাদকর্মীরা করোনা প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না। হাসপাতালে সংবাদ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা নিষেধ আরোপ করেছে। সরকার উদ্দেশ্য মূলক ভাবে সংক্রমনের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত অবস্থার চিত্র না দিয়ে জনগণকে প্রতারণা করবার জন্য অসত্য তথ্য দিচ্ছে বলে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল শনিবার ৩১ জুলাই বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় তারা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ১. ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন
২. ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার
৩. মির্জা আব্বাস
৪. বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়
৫. ড. আব্দুল মঈন খান
৬. নজরুল ইসলাম খান
৭. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
৮. আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
৯. বেগম সেলিমা রহমান
১০. ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
সভায়, করোনা পরিস্থিতি এবং বিএনপি গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর অগ্রগতি সম্পর্কে করোনা বিষয়ক কমিটির আবায়ক ও জাতীয় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব ইকবার হাসান মাহমুদ টুকু সভাকে অবহিত করেন। সভায় গৃহীত পদক্ষেপ সমূহের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
সভায় কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সংক্রমণের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা পর্যবেক্ষন করে যে, ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সারা দেশে ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমিতের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতাল ও পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোতে ভীড় করছে কিন্তু সরকারের নীতি ও অব্যপস্থাপনার কারনে বেশীর ভাগ আক্রান্ত মানুষ টেস্ট করতে পারছেনা। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে চ‚ড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে যার ফলে দেশের মানুষের কাছে সঠিক তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে না। অন্যদিকে সংক্রমিত ব্যক্তিরা হাসপাতালে কোন বেড পাচ্ছে না।
অক্সিজেন পাচ্ছে না। করোনা সংক্রান্ত জটিল রোগী ও শ্বাস কষ্টে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ অক্সিজেন আইসিইউ বেড পাচ্ছে না। ঢাকার বাইরের জেলা গুলো থেকে করোনা সংক্রমিত রোগীরা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে মৃত্যু বরণ করছে। জেলা হাসপাতাল গুলোতে পরিস্থিতি উন্নত করবার কোনও প্রচেষ্টা সরকারের নেই। অন্যদিকে ঢাকায় কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল গুলোতে অতিরিক্ত রোগীর চাপে চরম অব্যবস্থপনা দেখা দিয়েছে।
সরকার উদ্দেশ্য মূলক ভাবে সংক্রমনের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যার প্রকৃত অবস্থার চিত্র না দিয়ে জনগণকে প্রতারণা করবার জন্য অসত্য তথ্য দিচ্ছে। হাসপাতালে সংবাদ কর্মীদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা নিষেধ আরোপ করেছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট মামলার ভয়ে সংবাদ কর্মীগণ প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারছেন না।
অন্য দিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারন করেছে। সভা অবিলম্বে এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য সরকারকে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের আহŸান জানানো হয়।