‘দেশের সার্ভভৌমত্ব হুমকির মুখে, এবারের যুদ্ধ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ’ : তারেক রহমান

আপডেট: মার্চ ২, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই দেশটির সার্বভৌমত্ব এখন ভুলুন্ঠিত, হুমকির মুখে। তাই,এবারের যুদ্ধ, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। এবারের যুদ্ধ, মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে’র অঙ্গীকার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও।

পহেলা মার্চ সোমবার ঢাকায় হোটেল লেকশো’রে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি’র আহবায়ক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ডক্টর,খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে নেয়া এইসব বিশেষ কর্মসূচি ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিন গণনা শুরু হলো। একটি জাতির জীবনে একটি দেশের ‘স্বাধীনতা’ই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তির সঙ্গে আর কোনো অপ্রাপ্তির তুলনা চলেনা। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্যই আজ আমাদের গর্বিত পরিচয় ‘আমরা বাংলাদেশী’।
তবে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর এই সময়ে জনমনে এখন একটাই জিজ্ঞাসা, লাখো প্রাণের বিনিময়ে জনগণ একটি স্বাধীন মাতৃভূমি পেলেও
স্বাধীন দেশের নাগরিকরা কেন আজ নিজভূমে পরাধীন ?

তারেক রহমান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ – ৫০ বছরে পা রেখেছে। তাই মূল্যায়ন করার সময় এসেছে, এই সময়কালে বাংলাদেশ কতটা অর্জন করেছে, আরো কতটা অর্জন করা যেত, কেন অর্জন করা যায়নি, কিংবা, কাদের জন্য অর্জন করা যায়নি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এমন একটি রাষ্ট্র ও সরকার চেয়েছিলো, যেটি হবে ‘গভর্নমেন্ট অফ দ্যা পিপল, বাই দ্যা পিপল,ফর দ্যা পিপল’ । অথচ আজকের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা সরকারটি এখন দেশে বিদেশে পরিচিত, ‘গভর্নমেন্ট অফ দ্যা মাফিয়া, বাই দ্যা মাফিয়া, ফর দ্যা মাফিয়া’ ।

সুবর্ণ জয়ন্তীর কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের সামনে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি সর্বতোভাবে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, বের করে আনা প্রয়োজন অতীত ও বর্তমানের অনেক প্রশ্নের জবাব।

তারেক রহমান বলেন, দেশের স্বার্থে সবাইকে জেনে রাখা দরকার, কারা ১৯৭৪ সালে বিশ্বে বাংলাদেশকে ‘বটম লেস বাস্কেটে’র পরিচিতি দিয়েছিলো, ২০০১ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিল এবং বর্তমানে কারা দেশটিকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করলো ?

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, গত একদশকে কারা দেশ থেকে নয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দিলো ? বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের আটশো দশ কোটি টাকা কারা – কিভাবে লোপাট করলো ? কারা দেশটাকে খুন গুম অপহরণ ধর্ষণের নিরাপদ ভূমিতে পরিণত করলো ? কারা গণতন্ত্র হত্যা করে দেশে একদলীয় কুখ্যাত বাকশাল কায়েম করেছিল ? বর্বর রক্ষীবাহিনীর গুম খুন অপহরণ ধর্ষণের বিচার বন্ধে সংবিধানে কারা প্রথম ইনডেমনিটি দিয়েছিলো ? মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদকে কেন স্বাধীন দেশের মন্ত্রিসভায় থাকতে দেয়া হলোনা ? দেশের মর্যাদার পক্ষে কথা বলার কারণে আবরারকে যারা হত্যা করেছে স্বাধীন দেশে জন্ম নেয়া এই নরপিচাশদের
মগজ ধোলাই করলো কারা ? সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে কেন বাংলাদেশের এতো ভয় ?

তিনি আরো বলেন, এমন অনেক প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই নিহিত, আজ কোন পথে বাংলাদেশ ? কেন পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ।

তারেক রহমান বলেন, ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রয়েছে। তাদের একটাই টার্গেট, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা। এদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেই ২০০৯ সালে বিডিআর পিলখানায় ঘটে সেনা হত্যাযজ্ঞ ঘটে। স্বাধীন বাংলাদেশে সেনা হত্যাযজ্ঞের দিনটি কেন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে এতো দ্বিধা ?

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করতেই এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত এই অপশক্তি বিএনপি সম্পর্কে অব্যাহত অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিথ্যাচার করছে স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে। স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে মিথ্যাচার করে তারা নিজেরাই নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর গত ৫০ বছরে অসংখ্য বইপত্র লেখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবা ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিযুদ্ধের পর সেইসব মানুষদের লেখা ইতিহাসে নানাভাবে তথ্যপ্রমাণসহ উপস্থাপিত হয়েছে
জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক।

তারেক রহমান বলেন, একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে জিয়াউর রহমান নামটি আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো। যিনি বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ দিয়েনিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যিনি ‘স্বাধীনতার মহান ঘোষক’ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন জনগণের হৃদয়ে, মানুষের বিশ্বাসে-ভালোবাসায়, জনমনে শহীদ জিয়ার এই গৌরবজনক অবস্থান শহীদ জিয়ার জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।

তাই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মিথ্যাচারকারীদের সতর্ক করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ব ক্তব্য স্পষ্ট, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও অবদান মীমাংসিত। জনগণের হৃদয়ে ‘স্বাধীনতার ঘোষকে’র অবস্থান নির্ধারিত। ফলে এখন কেউ যদি হামলা মামলা কিংবা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নতুন ইতিহাস নির্মাণের পথ রচনা করতে চায় , এ পথটি ভবিষ্যতের ইতিহাসে তাদের জন্যই বিপদসংকুল হয়ে উঠতে পারে। একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তথ্যগুলোর পাশাপাশি স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিএনপির অর্জন কিংবা সাফল্যগুলোও নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্যও তিনি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি প্রতি তারেক রহমান আহবান জানান

তারেক রহমান বলেন, ইতিহাস সাক্ষী, জনগণ সাক্ষী। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ । সেই দেশটিকে একটি আধুনিক, কার্যকর এবং কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিত করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। সেই বাংলাদেশই আবার পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিলো এশিয়ার এমার্জিং টাইগার হিসেবে

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন মেয়াদে বিএনপি কমপক্ষে পাঁচ বার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে।
যতবার জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে ততবার জনগণ ভোট দিয়ে বিএনপিকেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এরমধ্যে রয়েছে গত একদশকে যুক্ত হওয়া আড়াই কোটিরও বেশি নতুন ভোটার। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, তরুণ প্রজন্মের এই নতুন ভোটাররা গত একদশকে একটিবারের জন্যও ভোট দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে আওয়ামী লীগ ৭৩, ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সাল অর্থাৎ স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ কিংবা বর্তমানের বাংলাদেশ, যতবারই আওয়ামী লিগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছে ততবারই তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, জনগণের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশ পরিচালনায় বিএনপির সাফল্যের তালিকা দীর্ঘ ও যুগান্তকারী হলেও স্বাধীন বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে কবর দেয়া গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার কার্যকর পদক্ষেপটি ইতিহাসের বিচারে দেশ পরিচালনায় বিএনপির
অন্যতম সেরা একটি স্বীকৃত সাফল্য।

‘জিয়াউর রহমান ছিলেন এমন একজন মুক্তিযোদ্ধা যিনি অস্ত্র হাতে সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধের ময়দানে অসংখ্য শত্রুকে পরাজিত করেছেন। আবার কাছ থেকে স্বচক্ষে দেখেছেন দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগ।

সেই বাস্তবতায়, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ কিংবা যে দলই হোক কারো গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাননি। কারো রাজনৈতিক অধিকার হরণ করা হোক, তিনি তা চাননি। তাই, মুক্তিযোদ্ধা জিয়া জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যেভাবে দেশ স্বাধীন করেছেন। একইভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় গিয়ে স্বাধীন দেশে মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে স্বনামে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন’, বলেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সুতরাং রাষ্ট্র পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধই বিএনপির প্রেরণা ও বিশ্বাস। তাই দেখা যায়, স্বাধীনতার গৌরবকে আরো দীপ্তমান করতে শহীদ জিয়া প্রবর্তন করেছিলেন ‘স্বাধীনতা পদক’ । রাষ্ট্র ও সমাজে মুক্তিযুদ্ধের গৌরব ছড়িয়ে দিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে খালেদা জিয়া প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তারেক রহমান বলেন, ‘শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ, বিএনপি এবং গণতন্ত্র সমার্থক’। শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করে বিএনপি সব সময়ই গণতন্ত্রের পক্ষে, মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে।

সুবর্ণ জয়ন্তীর বছরব্যাপী কার্যক্রমে তারেক রহমান দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির সক্রিয় এবং ঐক্যবদ্ধ অংশ গ্রহণ চাই। কারণ, দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে সকলের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই এখন গণতন্ত্রকামী মানুষের দাবি।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরোত্তম, মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিক্রম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল্লাহ আল নোমান,গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, উকিল আব্দুস সাত্তার, ভিপি জয়নাল আবেদীন, আবদুল কাইয়ুম, শাহিদা রফিক, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিজন কান্তি সরকার, সুকোমল বড়ুয়া, এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার মুক্তাদির, মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান রিপন ফজলুল হক মিলন, শ্যমা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, জহিরউদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলন, শিরিন সুলতানা, নাসের রহমান, ইশরাক হোসেন, খন্দকার মারুফ হোসেন, প্রচার ও মিডিয়া কমিটির শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আমিরুল ইসলাম আলীম, মীর হেলালউদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, মাহমুদা হাবিবাসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, রেদোয়ান আহমেদ, আহমেদ আবদুল কাদের, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুতফুর রহমান, সাইফুউদ্দিন মনি, সাহাদাত হোসেন সেলিম, আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আবু তাহের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ফারুক রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ অনে