বহুল প্রচারিত অনলাইন পোর্টাল দেশ জনতা ডটকমের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। পত্রিকাটির প্রকাশক মাহমুদা ডলির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার তৌহিদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক শওকত মাহমুদ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ডিআরইউর সভাপতি মোরসালিন নোমানী, ডা: সাখওয়াত হোসেন সায়ান্ত, পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক ডা: জাকারিয়া চৌধুরী, ফটোসাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি নাসিম শিকদার, বিএনপি নেত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ। আলোচনা শেষে কেক কেটে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে অতিথিরা।
অপরদিকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে উপস্থিত থেকে বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ দেশ জনতা ডটকমের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং বর্তমান গণমাধ্যমের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন,বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন মিডিয়া যে কোন স্বৈরাচার বিরোধী কথা যদি বলেন এবং গনতন্ত্রের পক্ষে থাকে তাহলে সেই সব মিডিয়াকে তারা জাতীয়তাবাদী মিডিয়া সেলের সাথে অর্ন্তভুক্ত করবেন। দেশ জনতা ডটকমকে শুভকামনা জানিয়ে অনলাইনকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। তিনি দেশ জনতা ডটকমকে সব সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য জোড়ালোভাবে ভূমিকা নেয়ার আহবান জানান।
দ্বিতীয় পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব রুহুল আমীন রোকন , ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম । এছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য , দুদক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠনের ( র্যাক) সাবেক মহিউদ্দিন প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসাইন, দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, বাংলাদেশ ফফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী। এছাড়া বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য আব্দুস সেলিম, একেএম মহসীন, জাকির হোসেন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য রফিক লিটন প্রমুখ।
শওকত মাহমুদ বলেছেন, দেশ জনতা ডটকমকে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারের জন্য , দেশের মানুষের, গণমাধ্যমের বাক স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য জোড়ালোভাবে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এক ভয়ঙ্কর সময় পার করছে। মুক্ত সাংবাদিকতা দূরে থাক সাংবাদিকদের প্রাণ রক্ষাই এখন দায় হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন , দেশে একমাত্র শহীদ জিয়ার পরিবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। অন্য কেউ করেনা। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণমাধ্যমের ওপর খড়গ নেমে এসেছে। ১৯৭৫ সালে ৪টি পত্রিকা রেখে সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বিশ্বের কোন রাস্ট্রের কোন রাজনৈতিক দলের মেন্যূফেস্টুতে মত প্রকাশ বন্ধের কথা বলা নাই। শুধু আওয়ামীলীগই যখনই ক্ষমতায় আসে তাদের নির্বাচনী মেন্যুফেস্টু মত প্রকাশে বাধা দেয়া প্রধান্য পায়।
অপরদিকে বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ দেশ জনতা ডটকমের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং বর্তমান গণমাধ্যমের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কথা বলেন। বিএনপি মিডিয়া সেলের প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেছেন,বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোন দেশের যে কোন মিডিয়া যে কোন স্বৈরাচার বিরোধী কথা যদি বলেন এবং গনতন্ত্রের পক্ষে থাকে তাহলে সেই সব মিডিয়াকে তারা জাতীয়তাবাদী মিডিয়া সেলের সাথে অর্ন্তভুক্ত করবেন।

দেশ জনতা ডটকমকে শুভকামনা জানিয়ে অনলাইনকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি। তিনি দেশ জনতা ডটকমকে সব সময় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য জোড়ালোভাবে ভূমিকা নেয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মাহমুদা ডলি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ৯ম বর্ষপূর্তি নতুন করে সংগ্রামের সূচনা করেছে। গত ৯ নছর দেশ জনতা ডটকম নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে ধুকে ধুকে চলেছে। নিরন্তর লড়াই করা দেশ জনতা ডটকম আরো বেশি সংগ্রাম চায় দেশের গনতন্ত্রের জন্য, মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য।
বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ সাংবাদিক নেতারা পত্রিকাটির প্রকাশক সাংবাদিক মাহমুদা ডলির সাহসিকতার ভূয়সী প্রশংসার পাশাপাশি পত্রিকাটির পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
পরে আরেকটি কেক কেটে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।