তবে নীলবাড়ির দখল হাতে এলেও, কোভিড পরিস্থিতিতে দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল বলে মনে করছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘এটা হইহই করার জয় নয়। এটা দায়িত্বের জয়। দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে। সামনে কাঁটার রাস্তা। সব কিছু ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। শ্মশানে শ্মশানে শবদেহ ভর্তি। হাসপাতালে শয্যা নেই। চারিদিকে হাহাকার। আমি দৌড়ে বেড়াচ্ছি। করোনার বিরুদ্ধে আবার শুরু থেকে লড়াইয়ে নামতে হবে।’
দুপুর ১২টাতেই ২০০ আসনে এগিয়ে দল। তাতেই জয় সম্পর্কে নিশ্চিত তৃণমূল। তবে দেশের করোনা যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তাতে এটা উচ্ছ্বাস দেখানোর সময় নয় বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তার বক্তব্য, ‘এই জয়ে কোনো বিজয় মিছিল হবে না। এটা আনন্দ করার সময় নয়। রাজ্যে কত মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমার নিজের অনেক আত্মীয় মারা গিয়েছেন। এমনকি যারা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই নেই। এই অবস্থায় বিজয় মিছিল বা আনন্দ করার মতো মানসিক অবস্থা নেই আমার।’
নীলবাড়ির লড়াইয়ে ফিরহাদ নিজে কলকাতা বন্দর থেকে প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে দুপুর পর্যন্ত বিজেপির অওয়ধ কিশোর গুপ্তর সাথে তার প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ১৭ হাজার। তবে জিতবেন বলে শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। তার বক্তব্য, ‘‘কোনো দুশ্চিন্তা নেই আমার। টেনশন লেনে কা নহি, দেনে কা হ্যায়। মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি নিজেকে ‘ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, টু দ্য পিপল’ বলে মনে করি। মানুষ বিবেচনা করে মতামত দিয়েছেন।’’
তবে নিজের কেন্দ্রে ফিরহাদ প্রতিপক্ষের থেকে নিরাপদ ব্যবধান বজায় রাখতে সক্ষম হলেও, নন্দীগ্রাম ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পিছিয়ে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ফিরহাদের বক্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা কাজ করেছি। উত্তরপ্রদেশ, বিহারের মতো ধর্ম, বর্ণ, জাতির ভিত্তিতে ভোট হয় না বাংলায়। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরছে তৃণমূল। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
একইসাথে দলের কর্মীদের সংযত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ফিরহাদ। মানুষের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়তে আর্জি জানিয়েছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা