রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় অভিনেত্রী পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার তাদেরকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডলের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামি পরীমণি ও দ্বীপুকে আটক রাখার আবেদন করেন। অপর দিকে পরীমণির আইনজীবী তার জামিনের জন্য আবেদন করেন।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে উভয় পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল আসামি পরীমণি ও দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে দু’দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় তাদের।
মঙ্গলবার পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। এর আগে গত ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। পরীমণির বাসা থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আটকের পর তাদের নেয়া হয় র্যাবের সদরদফতরে। সেখানেই রাত কাটাতে হয়। ৫ আগস্ট র্যাব-১ মাদক আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। ওই দিনই তাদের আদালতে নেয়া হয়।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় দু’দফা রিমান্ডে পরীমণি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তাকে জামিন না দিয়ে আটক রাখার আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত- সিআইডির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আবেদন করেন।
ওই আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আসামি শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে স্মৃতিমনি ওরফে পরীমণিকে জেলহাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে মামলার তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
আদালতে করা আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মামলার বিষয়ে আসামি (পরীমণি) বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত দিয়েছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, মামলার অভিযোগের সাথে পরীমণির জড়িত থাকার ব্যাপারে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তদন্ত অব্যাহত আছে।
অপরদিকে পরীমণির আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে।