মাদক মামলায় কারাগারে থাকা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা পরীমণির মুক্তির দাবিতে ‘জাস্টিস ফর পরীমনি’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অচিরেই পরীমণিকে মুক্তি দেয়া না হলে আরো কঠোর এবং বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বক্তারা।
শনিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রবীণ সাংবাদিক ও কলাম লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এ সমাবেশের সঙ্গে আন্তরিক সমর্থন জ্ঞাপন করছি। পরীমনিকে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করছি।
সমাবেশের সমন্বয়ক ও শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবিন আহসান বলেন, আমরা শুধু পরীমনির জন্য এখানে দাঁড়াইনি। আমরা দাঁড়িয়েছি সমস্ত নারীদের জন্য। পরীমণির বাসায় শুধুমাত্র ৫ বোতল মদ পাওয়ার ঘটনায় তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আপনারা আমাদের নারী সমাজকে বলতে চেয়েছেন পরীমণি কতটা খারাপ। তার বিরুদ্ধেতো কেউ মামলা করেনি। তারপরেও তাকে কেন গ্রেপ্তার করা হলো। কিন্তু আপনারা তার বিচার করছেন। বনানী, গুলশান, উত্তরা সব স্থানে মদের বোতল পাওয়া যায়। কই তাদেরতো কোনো বিচার হয় না। অচিরেই পরীমণিকে মুক্তি দেয়া না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশে উপস্থিত পরিচালক রাশিদ পলাশ বলেন, পরীমনি একজন শিল্পী, তাকে নিয়ে এ হেনস্তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা বলতে চাই পরীমনি আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকার সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের কো-ফাউন্ডার মুশফিকা লাইজু, মানবাধিকার কর্মী বেগম জোনাকি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী শ্বাশতী বিপ্লব, জাসদ-এর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী সালমা সুলতানা, যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খান আসুদুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র লীগের সদস্য ও রূপসজ্জাকার হাফিজউদ্দিন মাহবুব, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনউদ্দিন, ছাত্র ইউনিয়নের সহ সভাপতি আণিক রায়।