করোনার কারনেএ বছরেও সবাইকে ঘরে বসেই পহেলা বৈশাখের আনন্দ উপভোগ করার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, বেচে থাকলে সব কিছুই গুছিয়ে নেয়া যাবে। পর্যাক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উপলক্ষ্যে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আবাহনের দিন। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’-কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী এই গান গেয়ে আজ আমরা আবাহন করব নতুন বছরকে। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস- মাহে রমজান। আমি সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, নতুন বছরের শুভক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি জাতীয় চার নেতার প্রতি। স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনকে। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে।
আমি স্মরণ করছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকদের হাতে নিহত আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ভাই- মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ও দশ বছরের ছোট্ট শেখ রাসেলকে- কামাল ও জামালের নবপরিণীতা বধূ- সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, আমার চাচা মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবু নাসেরসহ সেই রাতের সব শহিদকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৃষ্টির অমোঘ নিয়মে সময় চলে যায়। করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেই আমরা এক বছরের অধিক সময় পার করলাম। গত বছর মার্চের প্রথম সপ্তাহের দিকে আমাদের দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। নানা আশঙ্কা আর আতঙ্ক গ্রাস করেছিল আমাদের।
সেসব মোকাবিলা করেই আমাদের টিকে থাকতে হয়েছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের থাবায় আমরা হারিয়েছি আমাদের অনেক প্রিয়জনকে, আপনজনকে। সবার রুহের মাগফিরাত এবং আত্মার শান্তি কামনা করে স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শেখ হাসিনা।