ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান ইসলামী সমাজের

আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২৩
0


নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইসলামী সমাজ’র আমীর হজরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, গোটা বিশে^র মুসলিমরা ধর্মীয় ক্ষেত্রে ইসলামের কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করছে, আর সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা মানবরচিত ব্যবস্থা মেনে চলছে বিধায়; মুসলিম পরিচয়দানকারী লোকজনসহ বিশ্বের মানুষ আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিভিন্ন রকমের আজাব-গজবের শিকার হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে কাল কাটাচ্ছে। সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকায় বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনে বিপর্যয়ের মাত্রা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল শনিবার বাদ আছর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে ‘ইসলামী সমাজ’ ঢাকা বিভাগীয় অঞ্চল-২ এর দায়িত্বশীল মুহাম্মাদ ইয়াছিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, ইসরায়েলীদের ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাই-বোনদের উপর দীর্ঘকাল পর্যন্ত অত্যাচার-নির্যাতন এবং তাদেরকে ঘর-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ। তিনি আরো বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলীদের উপর আক্রমনের প্রেক্ষিতে গাজায় ইয়াহুদী সৈরাচারী শাসক গোষ্ঠীর নির্দেশে হামাস যোদ্ধাদের নিধনের নামে গণহত্যাসহ বিভিন্ন রকম মানবতা বিরোধী অপরাধ প্রতিনিয়ত চলছে। কাল বিলম্ব না করে এখনি জাতিসংঘের মাধ্যমে এসব অপরাধ বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের শাসকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিশ্বের মুসলিম পরিচয়দানকারী লোকদের উদ্যেশ্যে ইসলামী সমাজের আমীর বলেন, আপনারা মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহণ করুন। আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে আল্লাহরই সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলেই আল্লাহর বিশেষ সাহায্যে বিশ্বব্যাপী চলমান সকল অন্যায়- অপরাধ নির্মূল হবে আর তখনি মানুষের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠিত হলেই মানুষের মাঝে চলমান সংঘাত ও সংঘর্ষময় অবস্থার অবসান ঘটবে এবং তাদের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হবে, ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে।