বর্ষা কালে ধানসিঁড়ি নদীর প্রমত্তা রূপ

আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২২
0
picture : deshjanata

বাংলা সাহিত্যে ধানসিঁড়ি নদীটি প্রেম এবং ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিখ্যাত প্রকৃতিবাদী কবি জীবনানন্দ দাশ রূপসী বাংলা কবিতায় ধানসিঁড়ি নদীটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। এই নদীর সৌন্দর্যে তিনি এতটাই বিমোহিত হয়েছিলেন যে তার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবিতা রচনার পেছনে এই নদীটি ছিল প্রধান অনুপ্রেরণা। তার বিখ্যাত লাইন: আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় ।
ধানসিঁড়ি নদী বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত। একদা প্রমত্তা নদীটি এখন ক্ষীণকায়া। কিন্তু বর্ষাকালে পানিতেদেনী ফিরে পায় তার সেই পুরোনো প্রমত্তা রূপ।

ঝালকাঠিকে ঘিরে আছে কীর্তনখোলা, বিষখালী, গাবখান, জাঙ্গালিয়া, বাসন্ডা ও ধানসিঁড়ি নদী আর কীর্তিপাশা, কুরিয়ানাসহ অনেক ছোট-বড় খাল। এখানে রয়েছে কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি, গাবখান সেতু, সুজাবাদ কেল্লা, নেসারাবাদ মাদ্রাসা, কবি কামিনী রায়ের বাড়ি ও রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হকের জন্মস্থানসহ শীতলপাটি শিল্প, মৃৎশিল্প ও পেয়ারার গ্রাম ভীমরুলি।

“আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে- এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শংখচিল শালিখের বেশে,
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়।
হয়তো বা হাঁস হব- কিশোরীর- ঘুঙুর রহিবে লাল পায়
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে।
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এই সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।”