বাংলাদেশ গঠনে সুদৃঢ় ভিত্তি প্রস্তুর তৈরিতে প্রকৌশলীরা ভূমিকা রাখবে—পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান

আপডেট: জুলাই ১৬, ২০২২
0

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) সদর দফতরের উদ্যোগে (১৬ জুলাই ২০২২ খ্রি., শনিবার, বিকাল ৪:০০ টায়) ”Padma Bridge:A Dream Turns into Reality’’ শীর্ষক সেমিনার ও পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট প্যানেল অব এক্সপার্টস, প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট কাজগুলোই সামনের বৃহৎ কাজকে পথ দেখাবে। আগামীর বাংলাদেশ গঠনে সুদৃঢ় ভিত্তি প্রস্তুর তৈরিতে প্রকৌশলীরা ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করি৷

উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান এমপি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷

পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট, আইইবি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড বসুনিয়া, পিইঞ্জ. বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু),পিইঞ্জ.

সেমিনারের মূলবক্তব্য উপস্থাপন করেন পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. ফিরোজ আহমেদ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন, পদ্মা বহুমূখী সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য, পানি সম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ
অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইনুন নিশাত, পুরকৌশল বিভাগ, আইইবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সম্মানী প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম।

ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, একটা শক্তিশালী টিম না হলে পদ্মা সেতু সম্ভব হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় খুব দ্রুতই ফাইল সম্পন্ন হতো। অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিল, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কারনে আশাবাদী হয়ে বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।

ড. আইনুল ইসলাম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পদ্মা সেতু পেয়েছি।এই পদ্মা সেতু সাহস যুগিয়েছে আগামীর জন্য৷

অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের আবেগের প্রতীক।পদ্মা সেতুতে যুক্ত সকল প্রকৌশলীরা সৌভাগ্যবান। ইতিহাসের সাক্ষীই নয় বরং নির্মানকারী হিসেবে ছিলেন।

অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার আইনুন নিশাত বলেন, টেন্ডার এবং পরিবেশের ঝাচাই করার ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রসংশনীয়। বিশ্বব্যাংক যত দিন পদ্মাসেতুর সাথে ছিল ততদিন পদ্মাসেতুতে বাঁধা হয়েছিল। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর নিচে কিছু চরে কচ্ছপের ডিম পাড়ার জন্য কম্পেনসেটরি গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে৷ ইলিশ রক্ষা করতে গিয়েও আমরা কাজের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছি৷ ল্যান্ড রিসেটেলমেন্ট বিষয়ে এখনো কোন প্রশ্ন উঠেনি। এটাই অন্যতম অর্জন।

অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এই পদ্মা সেতু যেটা করে উনি সফল হয়েছেন। বাইরে কত কথাই শোনা যায়, সব কথায় কান না দিয়ে আমাদের কথা শুনবেন৷

সভাপতিত্ব করেন আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা। সেমিনারের আহবায়ক ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামান।

আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রতীক কুমার ঘোষ, প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম তুহিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইইবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রনক আহসান।
এর আগে আইইবির ৬২৯ তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সদস্যরা সরাসরি এবং ভার্চ্যুয়াল উপস্থিত ছিলেন।