বান্ধবীকে ১১১ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছিল। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে তার উপর অত্যাচার করেছিল। তার সাথে কেন সম্পর্ক ত্যাগ করছে এই রাগে তার ওপর সে চড়াও হয়েছিল। লোহার তার দিয়ে তার শ্বাসরোধ করে খুন করে।
প্রচণ্ড চিৎকার করছিল মেয়েটি। তা শুনে পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু তারপরেও পুলিশ আসেনি বলে অভিযোগ। আর সেই নৃশংস খুনীকে ক্ষমা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ওই ব্যক্তির নাম ভ্লাদিস্লাভ কানিয়াস। তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সে এক বছরের কম জেলে ছিল।
কিন্তু কেন তাকে ক্ষমা করলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন?
আসলে সে ইউক্রেনে যুদ্ধে যেতে চেয়েছে। সেকারণে তাকে ক্ষমা করা হল বলে খবর।
তবে এই ক্ষমার ব্যাপারটি আগে জানা যায়নি। সম্প্রতি মৃত তরুণীর মা একটি ছবিতে দেখেন কানিয়াস নামে ওই খুনি সেনাবাহিনীর পোশাকে রয়েছে। এই ছবি দেখে তিনি ভেঙে পড়েন।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়েটা শেষ হয়ে গেল। আমার জীবন, আশা সব শেষ। আমি অত্যন্ত শক্তিশালী মানুষ ছিলাম। কিন্তু এই ঘটনা সব শেষ করে দিয়েছে। কোনোক্রমে বেঁচে আছি আমি। জানি না এরপর কী করব। কিন্তু এই দেশের আইনের এই অবস্থা। আমাকে পুরো মেরে ফেলল।’
তার প্রশ্ন- ‘এমন নৃশংস খুনিকে কিভাবে অস্ত্র দেয়া হলো? কেন তাকে যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে? সে তো খুনি। সে মানুষ নয়। ওই খুনি যাকে খুশি মারতে পারে। আমাদের খুন করতে পারে। প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সে এসব করতে পারে।’
নারী অধিকার রক্ষা সংক্রান্ত অ্যাক্টিভিস্ট আলিওনা পোপোভা জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে তাকে পাঠানো হয়েছে। তিনি রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে প্রাপ্ত একটি চিঠি দেখিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তিকে ক্ষমা করা হয়েছে।
এদিকে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, অপরাধ অনুসারে জেলবন্দীদের যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্র : এএফপি/হিন্দুস্তান টাইমস