বিক্ষোভ বানচাল করতে ছাত্রদল নেতাদের গ্রেফতার গুম করা শুরু করেছে পুলিশ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহূল কবীর রিজভী।
রিজভী বলেন , গত রাতে গ্রেফতারের উদ্দেশে পুলিশ ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সজীব রায়হানকে বাসায় না পেয়ে তার ৩ ভাই জুয়েল, সোহেল ও সুমনকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ধরে নিয়ে গেছে ।
আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, একদিকে বিক্ষোভ বানচাল করার জন্য উন্মত্ত পুলিশের বেপরোয়া লাঠিপেটায় রক্তাক্ত করা, অন্যদিকে গ্রেফতার করে রিমান্ড নামক টর্চারিং মেশিনে ঢুকিয়ে ছাত্রদল নেতাদেরকে নির্যাতনে যে ভয়াবহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তা নজীরবিহীন।
তিনি আরও বলেন, গত পরশু দিন লেখক ব্লগার মুশতাক আহমেদের সরকারি হেফাজতে মৃত্যু ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের অতর্কিত হামলায় বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সহ-সভাপতি মামুন খান, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, আক্তার হোসেন, ফারুক হোসেন, সানজিদা আক্তার তুলিসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
রিজভী আরও বলেন, গত পরশু দিন সন্ধ্যায় পর পর তিনজন ছাত্রদল নেতা যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য আনিসুর খন্দকার অনিক, এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার জিসান ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের কর্মী আতিক মোর্শেদকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় অস্বীকার করেছে শুধুমাত্র তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করার জন্য।
তিনি বলেন, তাদের নির্মিত সন্ত্রাসের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ফেলার জন্য ছাত্র-জনতা রাজপথেই অবস্থান নিবে, গৃহে ফিরে যাবে না। যারা প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখে তাদের পতন অবশ্যম্ভাবী। বহু দিন ধরে চলে আসা এই অবিচার মানুষ আর সহ্য করবে না। সকল নির্যাতন সহ্য করেই ছাত্র-জনতা রাজপথে থাকবে।
তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদল নেতাদের রিমান্ড বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি জানান। সজীব রায়হানের ভাই জুয়েল, সোহেল, সুমন যাদের রাজনীতির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।