বিজেপিতে যখন ছিলো তখন সাধু ছিলো আর এখন দল বদলাতেই দুয়ারে সিবিআই – খোঁচা টালিগঞ্জ নায়িকা মিমির

আপডেট: মে ১৮, ২০২১
0

একুশের বিধানসবায় বেহালা থেকে টিকিট না পেয়ে অভিমানে ‘পদ্ম-ত্যাগ’ করেন শোভন-বৈশাখী। তাঁরই শাস্তিস্বরূপই কি এই গ্রেপ্তারি? পরোক্ষভাবে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ছেড়ে দিল্লিতে গিয়ে ‘স-বান্ধবে’ গেরুয়া মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

সেই সময়ে তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমোর প্রতি একাধিকবার ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছিল শোভন-বৈশাখীকে। আসলে একুশে বাংলা দখলের লক্ষেই শোভনকে গেরুয়া শিবিরের তরফে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল, বলে তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ। তবে বিধানসভা ভোট আসতেই হিসেবে হল গড়মিল। বেহালা (Behala) থেকে টিকিট না পেয়ে অভিমানে ‘পদ্ম-ত্যাগ’ করলেন শোভন-বৈশাখী।

সেই সময়ে বঙ্গ-বিজেপির (BJP) তরফেও রাজনৈতিক এই জুটির দল ছাড়াকে খুব একটা আমল দেওয়া হয়নি। তখনই কানাঘুষো তাঁদের তৃণমূলে যোগদানের খবর ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু ভোটের সময় শোভন-বৈশাখীর ‘ঘর ওয়াপসি’র খবর চাউর হলেও, তা বাস্তবায়িত হয়নি। ভোট মিটতেই মাথা চাড়া দিল নারদ মামলা (Narada Scam)। আর সেই প্রেক্ষিতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপরও নারদের খাঁড়ার কোপ পড়ল।

বিজেপি-ত্যাগের শাস্তিস্বরূপই কি এই গ্রেপ্তারি? প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিকদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই সুর মেলালেন মিমি চক্রবর্তীও।