‌`বিহারী পল্লীগুলো থেকে লীগের হয়ে ছোটো বড় মিছিল বের হচ্ছে’

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩
0

ডা জাকারিয়া চৌধুরী

২০১০ সালের DW এর বিহারী বিষয়ক একটা রিপোর্টকে মুল ধরে আমি একটা আর্টিকেল লিখছিলাম। সেখানে এক জায়গায় এসে মনে হল আমার হাত জমে যাচ্ছে। আমার মনে ভয়ের এড্রিনালিন এফিক্ট যেন ফুটতে শুরু করল। ওদের বস্তিতে যদি কেউ নাশকতা চালায় তবে এরচে ভাল সময় আর হতে পারে না। এর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিহারী পল্লীতে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হল। পুড়ে কয়লা হল অন্ততঃ ১১ জন। এর মধ্যে এক পিতা তাঁর দুই আড়াই বছরের শিশু পোড়া কয়লার মত দেহটাকে তুলে ধরার একটা ছবিতে আমি আটকে যাই……… অসার হয়ে যাই। কোন কুক্ষনে আমি এসব লিখতে গেলাম !! ভুমিকম্প নিয়ে লেখা আর্টিকেলটাও দ্বিতীয় পর্ব লিখিনি। লিখবার ব্যাখ্যা করবার জন্য যারা আশায় মুখিয়ে ছিলেন, তারচে বেশি ভয় পেয়েছিলাম অন্য কোনওভাবে। সে ভয়ের জয় হয়েছিল। সংগত কারনেই লিখিনি। আপনারা জ্ঞানী গুনী’র দল পারলে ভাংগা ইট দিয়া আমার মাথা ফাটা-ই ফালান। সব আগ বাড়াইয়া ভাবি কেন ? আমি তর্ক করিনা। এদেশ থেকে তর্কের পরিবেশ উঠে গেছে ২০০৩-০৪ থেকেই। এরচে ভাল, চলুন এদেশে বেঁচে থাকা সো-কল্ড কিছু মানুষকে নিয়ে কথা বলি। ওই বিহারীর দল আর কি !!

বিহারী পল্লী’র কথা –
————————-
যারা মিরপুর, মোহাম্মদপুর কিংবা পুরান ঢাকায় থাকা বিহারী ক্যাম্পের প্রতিটি ঘর চেনেন তারা জানেন, বিহারীরা তেমন কেউ-ই নিজেকে বাংলাদেশী বা বাংগালী পরিচয় দিতে চায় না। তারা এদেশে এসছিল ধর্মের হিংস্রতা থেকে বাচতে। কিন্তু ট্যাক্স, ভ্যাট আর স্বাভাবিক পরিবেশে মুক্ত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়ে তাদেরকে কেউ আগে থেকে দাসখত দিয়ে এদেশে ডেকে আনেনি, তারা এটা অনুধাবন করতে পারেনি। তারা এসছিল বিশ্বাস করে, ধর্মের সমান অধিকার নিয়ে সমমর্যাদাআয় থাকতে। তারা এসছিল পাকিস্তানে। সেই পাকিস্তানের আর্মি,পুলিশ, মুহিত থুক্কু প্রশাসন থেকে শুরু করে ঘাতক দালাল নির্মান কমিটি ( যা পরে নির্মুল কমিটিতে ধর্মান্তরিত হয় ) পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের পক্ষে ১৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ করে । ১৫ ই ডিসেম্বর রাত বা ১৬ ই ডিসেম্বর সকালের মধ্যে-ই সবুজ রুমালে লাল রং লাগিয়ে ফেলতে পেরেছিল তারা-ই শীর্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিজেদের নামধাম পাড়া পড়শি সহ লীগার হয়ে গিয়েছিল। এরা-ই পরে এমপি মন্ত্রীও হয়েছে। যারা মরে গিয়েছিল তারা বুদ্ধিজীবি হয়েছে। যারা চুপ ছিল তারা রাজাকার হয়েছে, যারা সবুজ রুমাল খুঁজে পায়নি তাঁরাও রাজাকার হয়েছে। কেবল কোনঠাসা হয়ে গেছে বিহারীরা। তাদেরকে কোনো স্লটে-ই ফেলা হয়নি। কাজে লাগবে। হ্যাঁ, কাজে লেগেছে। বিহারীরা এদেশে এসছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার আশায়, সম-অধিকারের আশায়, জমিজিরাতের আশায় কিংবা কেউ কেউ এসে গরীব হয়ে গিয়েছিল। সে তাঁর নিজ ভুমে রাজার হালে ছিল। এ কোথায় এলো তারা !! এখানে কাল ঘড়ির আগে যমদুত নাচে !!

এদেশে এসে দেখে সব শালা-ই একটা একটা সিদ্দিকী। কেউ কাদের সিদ্দিকী, কেউ তাঁর বাপ, কেউ তাঁর বর্ভাই লতিফ, কেউ তাঁর ছোট ভাই দিল্লীর মুরাদ। এরা যার হাতে পরেছে তাঁর হাতে-ই খুন গুম ধর্ষন হয়েছে, সেক্স টয়ের মত ব্যাবহার হয়েছে। মানে রোহিংগাদের সাথে আমরা যা যা করেছিলাম !! মনে আছে তো !! তখন ত্রান দেয়ার নামে এদেশের কি পরিমান মানুষ এক/দুইশ টাকায় ভার্জিন মেয়ে খুঁজে বের করতে যেত আন্দাজ করতে পারেন ব্রো ? !! ইয়েস উই আর দিস ন্যাশন, ন্যাশন অব সেন্ট্রাল রিপাবলিক অব আফ্রিকা। আলাউলের রাজ্য আরাকান ছেড়ে আসা কেউ জাতিগত ভাবে বিহারী নয়। তারা আরাকানিজ মুসলিম। মগ নয়। যা ইচ্ছা তাদেরকে নিয়ে তা-ই করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে কাদেরের বাপ মহিলা ব্রিটিশ মেজিস্ট্র্যাটকে লুঙ্গি তুলে প্রকাশ্য এজলাসে কিসের বিচি যেন দেখিয়েছিল !! এ সত্য অসভ্যতাটা এদেশের মানুষ জানবার আগে-ই , একটা কমেডি মিথ হিসেবে-ই রয়ে গেল আজতক।

আবার যারা ৭ই মার্চ থেকে যারা দেশকে স্বাধীন ভাবছিল, তাদের হাত ধরে-ই বেশিরভাগ অত্যাচারের শুরু। ওত্যাচার কাদের উপর করা হবে ? একটা একটা বিহারী ধর, ধইরা ধইরা জম্বাই কর। পাকিস্তান’রে ক্ষেপাইয়া দে………… এর কারন কি ? কারন তারা উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার জন্যে। না লাগাইয়া কি করব ? পাকিস্তানী খান সেনাদের অত্যাচারে কি থাকা যায় নাকি থাকবার পরিবেশ আছে ? ধর তক্তা মার পেরেক টাইপ অবস্থা। কেউ ব্যাংক লুট করে, ব্যাংকাররা আমানতের টাকা সুটকেস ভর্তি করে কলিকাতা চলে যায় পি কে হালদারের মত কেউ বাড়ি বাড়ি ডাকাতি করে, কেউ জুট মিলের পাট বেইচা দেয় পরে যুদ্ধের খরচের জন্য, আকবর আলী খান তো অস্রাগার-ই খুইল্লা দিয়া পালাইয়া গেলেন। অস্ত্র গুলা বিতরন করার সাহসও তাঁর ছিল না। এই লাইনটা লিখলাম এইজন্যে যে, বুইড়া এই ট্যারা মরার আগে নিজের চেহারাটা আরেকবার দেখুক। যা বলছিলাম কমরেডস, বিহারিদের ধইরা ধইরা আনা কেন ? ত্যাক্ত বিরক্ত বিহারী’রা পাকপন্থী – সে কারনে নয়। এদের পাছা দিয়া বাশ দিলেও কোনো শালার সাহস নেই কিছু বলবার । পুর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশে ফিরে আসা বেশিরভাগ মুসলিম-ই বিহার, মুর্শিদাবাদ বা ধরুন কলিকাতার লোক। উডিশ্যারও থাকতে পারে।

এরা সামাজিক সহিংসতার শিকার। এরা সহিঙ্গসতার শিকার হবে, কিন্তু কেউ এর দায় না নিলে থানা পুলিশে আর কয়দিন !! ১৯৪৬-৪৭ এর রায়ট নিয়ে ভারতের পদ্মভূষণ, লেখক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, শ্রী খুশওয়ান্ত সিং লিখেছেন, বিহারের মোল্লারা যখন পঞ্চাশ হাজার মুসলিমের কাটামুন্ডু নিয়ে এ দুয়ার সে দুয়ারে ঘুরে ফিরছেন, মহাত্মা গান্ধী তখন দুইটা ছাগী, দুইটা নারী আর কিছু চেলা চামুন্ডা নিয়ে নোয়াখালিতে এসে সাম্যের বানী শোনাচ্ছেন। সেখানে মুসলিমদের হাতে ৫০০০ হিন্দু নিহত হয়েছিল বলে উইকি লিখে, উইকি এটাও কনফার্ম করে সে সময় স্থায়ীয় মুসলিম লিডারেরা ৫০০০০-৭৫’০০০ হিন্দুকে কুমিল্লা, নোয়াখালি, লক্ষীপুরের বিভিন্ন শেল্টার ক্যাম্পে নিয়ে যায় আপদকালীন সময়ের জন্য। তিনি নোয়াখালিতে টানা চারমাস অবস্থান করলেন। নোয়াখালি-লক্ষীপুর শান্ত হলো। ছাগলের দুধ খেতে খেতে দুই তরুনীর উপর ভর করে তিনি ভারতে পাড়ি জমালেন। উত্তর প্রদেশের মনো মাজরা গ্রামের কথা তিনি কখনো উচ্চারন করেননি, বিহার কান্ডে তিনি দুঃখিত হয়েছেন শোনা যায়। মুখে কিছু বলেননি। এসব বিষয়ে আমি আজতক কোনো করমচাঁদ গান্ধী’র কোনো কথা কোনো ডকুমেন্টে পাইনি, সরেজমিনে যাওয়া তো দূর কি বাত ! বাংলাদেশ থেকে দেশ থেকে ফোর্সফুল্লি হিন্দুদের তাড়িয়ে দেয়ার কথা উইকি তে নেই, থাকলেও আমি দেখিনি। ঠিক একই সময়ে ( ১৯৪৬-৪৭ ) একই স্থানে হিন্দুদের হাতে কতজন মুসলিম নিহত হয়েছে সেটাও উইকিতে আমি অন্ততঃ পাইনি। যাই হোক, ১৯৪৬-৪৯ এর দাঙ্গা নিয়ে লেখা আমার উদ্দেশ্য নয়। হিন্দু মুসলিম বিদ্বেষ নিয়ে পুরনো ঘা’য়ে নুন ছিটানোও আমার কাজ নয়। লেখা যখন শেষ হবে, তখন আপনাদের কৌতূহল হয়ত মিটেও যেতে পারে।

DW ২০১০ সালে বিহারী পল্লীগুলোকে নিয়ে যে রিপোর্ট_টা করেছিল সে রিপোর্ট পড়লে আপনি নিশ্চয়-ই রিপোর্টারের জন্য দোয়া করবেন। নানান ক্যাম্পে আশ্রিত বিহারীদের জীবনের নানান করুন বাস্তবতা, সুয়্যারেজ, পয়ঃনিষ্কাশন, বিশুদ্ধ পানি, ঘিঞ্জি জীবন, এক রুমে দুই তিন পরিবারের ঠাসাঠাসি করে শুয়োর-কুকুরের জীবন যাপনের ভয়াবহ দুর্ভোগের করুন অবস্থার চিত্রটা DW- ই সর্বপ্রথমে জনমানুষের নজরে আনে। একই রিপোর্টে আসলামুল হক, ইলিয়াস মোল্লা, সহ অনেকের ছবি জুড়ে দিয়ে বলা হয় ঢাকার আসন গুলোতে আওয়ামীলীগ কখনো জিতে না আসতে পারার কারন এই বিহারীরা। যত কিছু-ই হোক, এরা কোনোভাবেই আওয়ামীলীগের ক্ষমতায়ন পছন্দ করেনা। আর এই লাইনটা পড়ে-ই সেদিন আমি কেঁপে উঠেছিলাম – ঢাকায় বাস করা বিহারীরা টার্গেট লকড হয়ে গেছে ভেবে। বিহারীরা কখনো-ই এমন অত্যাচারী অনিরাপদ জনপথ হিসেবে বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি। যারা দেশ ভাগের আগেও কুলী মজুরের কাজ করেছিল তারা কুলী মজুরদের সাথে গিয়ে এক সময় ভিড়েছে। যারা হাওয়ায় তাল মিলাতে পারেনি, তারা নিজেদেরকে প্রতারিত ভেবেছে। অবস্থা দিনকে দিন এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে, নিজ ঘরের বান্দির বাড়িতে কাজ চাইতে গেলে বান্দি যেভাবে শখে শখে পানের পিচকি গায়ে মুখে ফেলে, এক সময়ের তাদের লেবারেরা-ই আজ তাদের মালিক মালকিনে পরিনত হয়ে গেল !! এরা স্রোতে আগে-ই গা ভাসিয়ে দেয়া সেই কুলী মজুর অংশটা। অবহেলিত, অপমানিত, লাঞ্চিত, ধর্ষিত এই দলটা এ কথা ভাবতে-ই পারে যে, ইন্ডিয়ার বাড়ি, গাড়ি, সোনা ফলানো ফসলের মাঠ ফেলে কেন এসছিলাম আমরা ? কই আমাদের সব এলাকায় কি রায়ট হয়েছিল নাকি ? আমরা তো হিন্দু-মুসলিম মিলেমিশে ভাল-ই ছিলাম। আমাদের আজকের দিনের এই দুর্দশার জন্য আমাদের নির্বুদ্ধিতা-ই দায়ী। যারা আজতক আসেনি তারা কি সবাই মরে গেছে ? তাদের মন মগজে নতুন গাছ গজিছে। বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান-ই যত নষ্টের গোড়া। অথবা ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ যদি হবে-ই তবে এখানে সেক্যুলারিজম জিনিসটা কি ? ৭১ সালে তারা অবিভক্ত পাকিস্তান ধরে রাখতে মরনপন লড়াই করেছে। অনেকে স্ত্রী সন্তান সোনাদানা খোয়ানোর শোধ নিছে ব্যাক্তিগতভাবে। দিন শেষে তারা আবারও পরাজিত হয়েছে। এবার বিহারীপল্লীগুলো শ্মশান হয়ে গেছে। আগে যারা ঘর বাড়ির মজুর ছিল, এদেশে এসে মজুরেরা মজুরদের কাজ জুটিয়ে নিল ঠিক-ই; মধ্যবিত্ত এবং উচ্চমধ্যবিত্তের দল না পেল তাদের স্ট্যান্ডার্ডের কাজ, না পেল সম অধিকার, না পেল নিরাপত্তা, না যেতে পারলো পশ্চিম পাকিস্তানে, না পেল সম অধিকারের নিশ্চয়তা ! এখন এরা যদি ভাবে, যা হবার হয়েছে, যা যাবার গিয়েছে, ঠিকাছে। আমরা তবু নিজেদের পরিচয় দেব আটকে পরা পাকিস্তানী নাগরিক বলে। তাহলে কি দোষ হয়ে যাবে ? এরা কেন নিজেদেরকে এদেশের নাগরিক বলে পরিচয় দিতে চাইবে ? এরা কি এখানে নাগরিক অধিকার পেয়েছিল কখনো !!?

মিরপুরের বিহারীপল্লীতে এখনো আগের মত মাটির ঘর আছে কিনা কে জানে ! এরা অবশ্যই নিজেদের আইডেন্টিটির পরিচয় দিত নিজেদের ঘরের সামনে ছোট ছোট পাকিস্তানী পতাকা লাগিয়ে। রাত দিন সকাল বিকাল ২৪ ঘন্টা ওদের ঘর গুলোর সামনে পাকিস্তানী পতাকা উড়তো। খুব ছোট ছোটো পতাকা। এ নিয়ে বিহারীপল্লীতে ঘুরে বেড়ানো মানুষেরা কখনো বিরক্ত হত না। আমি অন্তত দেখিনি……………… একই দৃশ্য ভারতের মুসলিম পাড়া গুলোতেও……… মিরপুরে মোল্লা পরিবারের চাচা এখলাস মোল্লা বড় বিএনপির নেতা ছিল। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক ভাগ্য ছিল খারাপ। সে অনেক চেষ্টা করেও বিএনপি থেকে ভাল কিছু করতে না পেরে পরে লীগে নাম লেখায়। কালসি অঞ্চলে কে কমিশনার হবেন, তা পুরোপুরি নির্ভর করে বিহারী পল্লীর ভোটের উপর। ( ঠিক এখান থেকে 2010 সালে করা DW রিপোর্ট ধরে কয়েকটি কথা বলব )। সেই হিসেবে এখলাস মোল্লা খুব সম্ভব বিএনপি থেকে নির্বাচিত একজন সাবেক কমিশনার। এখলাস মোল্লার গল্প শেষ। ২০০৮ সালের পর তাঁর নড়াচড়া আর দেখার ভাগ্য আমার হয়নি। আমি গ্রামে ফিরে যাই। তারপর লীগ থেকা এমপি পদে দাঁড়াইল তাঁর ভাতিজা টুপি পরা একটা ভোটকা। ২০০৮ সালের প ম্যানিপুলেশনের পর থেকে ভোটের বাক্সের প্রয়োজন উগান্ডায় আর খুব একটা হয়নি। সে থেকা তারা সেই আসন এখনো ধরে রাখছে।

আমি যখন বিহারীদের নিয়ে আর্টিকেল প্রথম প্রকাশ করি এবং তাদের ব্যাপারে আতংকিত বোধ করি; তখন-ই সেই পল্লীকে আগুন দিয়ে কয়লা করে দেয়া হয়। চারদিক থেকে আংগুল উঠে ভোটকা’র দিকে। ঠিক-ই তো আছে !! ৭১ সালে পাকিস্তানের লাইগা জান বাজি রাখছিলি না !! ? কাদের সিদ্দিকী মাঠ ভর্তি স্টেডিয়ামে তোদেরকে সার্কাসের মত বেয়নেট দিয়া খুন করছিল শাস্তি হিসেবে। সেদিন মারছিল সে মাত্র ০৪ জন, অথচ ৪০০ মারলেও কেউ কিছু কইত.ও না। গ্যারান্টি ছিল। ৭৫ এর পর থিকা তোমরা আবার লীগ বিরোধীতায় নামছিলা তাই না !! ১১+২= ১৩ জন’রে কাবাব করা হইল। গ্যারান্টি আছে, কিছু হইব না। হয় নাই। যে বিহারিরা স্বাধীনতার পর থেকে লীগ বিএনপির রাজনীতিতে প্রকাশ্যে নিজেদের জড়াতো না, আগুন দেয়ার পর থেকে তারাও তাদের সব ঘর থেকে পাক পতাকা নামিয়ে বাংগাল পতাকা সেট করেছে। এরপর দেখলাম বিহারী পল্লীগুলো থেকে লীগের হয়ে ছোটো বড় মিছিল বের হচ্ছে। এই তো পথে আসছে !! দেখো দেখো কেমন সুন্দর জয়বাংলা জয়বাংলা করতেছে !!!! যারা প্রো-ইন্ডিয়ান ছিল, তারা আবার সরব হইয়া উঠছে !! সাচ্চু বাচ্চু’রা দেরাদুনে প্রশিক্ষিত, জেনারেল উবানের সন্তান…

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক দেশ জনতা ডটকম