কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির ৪ নেতাকে বহিস্কার করেছে উপজেলা বিএনপি। ২৩ মে বৃহস্পতিবার উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মোস্তফা স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক পত্রে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহীন শিকদারের পক্ষে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার অংশ নেয়ার সুনিদিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পর্যায়ের এসব নেতাকে তাদের সকল প্রকার পদ ও পদবী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সভাপতি কাজী মোস্তফা।
বহিষ্কৃত বিএনপির নেতারা হলেন,উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল হক,পাইকেরছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম,শিলখুড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জোবায়ের হোসেন, ও পাথরডুবি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হযরত আলী।
বহিষ্কারের এসব চিঠির অনুলিপি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্নমহাসচিব, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ২০ মে বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক সহ এসব নেতাদেরকে পদ পদবী ব্যাবহার করে বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শাহিন শিকদারের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয়ায় কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্হা নেয়া হবেনা মর্ম্মে কারন দর্শানোর নোটীশ দিয়ে অবগত করা হয়। কিন্তুু আব্দুল বারেক শোকজের জবাব দিয়ে নিজের ভূল স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর নির্বাচনে প্রচারণার অংশ নিবননা বলে আত্নসমর্পন করে মুচলেকা দেন।বাকী ৪ নেতা শোকজের কোন জবাব দেননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
এবিষয়ে আব্দুল বারেকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
পাথরডুবি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বহিষ্কৃত নেতা হযরত আলী বলেন আমি এখনো চিঠি পাইনি।
এবিষয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক (অব:) কাজী মোস্তফা ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির পদ পদবীধারী ৪ নেতাকে বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,তাদের প্রত্যেকের নামে বাহক মারফত পৃথক পৃথক পত্র তাদের কাছে পত্র পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেক তার নিজের ভূল স্বীকার করে শোকজের জবাব দিয়েছে এবং দলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর নির্বাচনে প্রচারনায় অংশ নিবেননা মর্ম্মে মুচলেকা দিয়েছেন। বহিষ্কারের তালিকায় আরো কিছু নেতা যুক্ত হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক একেএম ফরিদুল হক শাহীন শিকদার দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার অপরাধে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব এড: রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে তার সদস্যপদ ও পদবীসহ বহিষ্কার করা হয়।
###
২৩•০৫•২৪