স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয় কমিটি ভার্চুয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে মত বিনিময় সভা করেছে মঙ্গলবার। স্বাধীনতা সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপন মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মধ্যপ্রাচ্য সাংগঠনিক সমন্বয় সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিবের সভাপতিত্বে সুর্বন জয়ন্তী উদযাপন সমন্বয় কমিটির
সদস্য সচিব কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক সাজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।
সভায় মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয় কমিটি এই অঞ্চলে বছরব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তীর কি কি প্রোগ্রাম পালন করবে সেই বিষয়ে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয় কমিটি কর্তৃক বছর ব্যাপী এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় ভাবে এবং প্ৰত্যেকটি দেশে আলাদা আলাদা বিভিন্ন প্রগ্রাম করার প্রস্তাব সভায় উপস্থাপন করা হলে জাতীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রস্তাব গুলো সমর্থন করে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব নিয়ে আওয়ামী লীগ নোংরা খেলায় লিপ্ত। আসলে আল জাজিরার সংবাদ ধামাচাপা দিয়ে মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব নিয়ে আওয়ামী লীগ নাটক শুরু করেছে।
কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ সফল হতে দেবে না। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলা যাবে না। যারা মনে করেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল করা হলেই তাকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া হবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে স্বাধীনতার ঘোষক, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সমাদৃত। দেশের সঙ্কট মুহূর্তে ত্রাণকর্তা হিসেবে তিনি বারবার দেশকে সঙ্কট থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধও করেছেন।
সভার সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৌদিআরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিব বলেন বাংলাদেশ ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একে অপরের সম্পূরক। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের আপামর জনগণের হৃদয়ে স্বাধীনতার ঘোষক মেজর জিয়া নামে প্রতিষ্ঠিত। মুকিব বলেন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য অর্জিত জিয়াউর রহমানের পদক নিয়ে টানাটানি করবেন না।
এই মাফিয়া সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করুন জনগণ তা রুখে দিবে। তিনি কঠিন হুঁশিয়ারি দিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলায়াত করেন
সালাউদ্দিন আহমদ, আ ক ম রফিকুল ইসলাম , জাকির হুসেন, মীর মনিরুজ্জাম তপন, কেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী সি আই পি,মকবুল হুসেন মুল্লা,ফয়ছল মাহমুদ চৌধুরী, চুন্নু মুল্লা ,মফিজুল ইসলাম বাবুল , নুর হুসেন ,মিছবাহ উদ্দিন প্রমুখ ।