হাজীঃ মোঃ আবুল খায়ের খান
বয়স্ককালে শিক্ষালাভ করে ও প্রতিদিন ১পাড়া কোরআন বিনয়ের সাথে পাঠ করা সম্ভব। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত সালাত কায়েম, নেক আমল আর অন্তরে আল্লাহর কালাম জারিরাখা যেমন আবশ্যক। তেমনি নবী রাসূল, পীরপয়গম্বর, মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ১৫ই আগস্ট, ২১শে আগস্ট এবং ৩রা নভেম্বরে শহীদ সকলের আত্তার মাগফিরাতের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা ও জরুরী। মুসলিম বিশে^র রাষ্ট্র প্রধানদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুই ছিলেন ইসলামের প্রতি সবচে বেশী অনুরাগী। যার কারনে স্বাধীনতার অব্য বহিত পরই ও,আই,সি সম্মেলনে ছুটেযান পাকিস্তান।
তিনি সমগ্র মুসলিম জাতিকে ঐক্য বদ্ধভাবে শক্তিশালি প্লাটফর্ম হিসাবে গড়ে তোলার আহবান জানান । খাদ্যের সয়ংসম্পূর্ণ সহ দেশকে যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহুর্তে ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতাকে রক্তেরঞ্জিত করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ক্ষমতায় বসে। স্বাধীনতার ৫১ বছরে ২৬ টি বছরই কুলাঙ্গার ঘাতক সেই শকুনের দল ছোবল মেরে মেরে খেয়েছে। ক্ষত বিক্ষত করেছে দেশের অর্থনীতি। স্তব্ধ করে দিয়েছিল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা। সম্পদ লুণ্ঠন করে কালো টাকার মালিক হয়ে তারা দেশ বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। হায়েনার দল আজও ক্ষমতার জন্য নানা ষরনে লিপ্ত। ডেমরা বাওয়ানি হাই স্কুল থেকে এস.এস.সি উত্তীর্ণ হবার পর ১৯৬৬ খ্রীঃ জগন্নাথ কলেজে এম. এ. রেজা ও বর্তমান এম পি কাজী ফিরোজ রশিদ ভাই এর আমলে আমি একজন কর্মী হিসেবে ছাত্রলীগে যোগ দেই।তখন থেকেই প্রতিটা আন্দোলন, সংগ্রামে বটতলা, আউটার স্টেডিয়াম, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে সম্পৃক্ত থাকি। প্রত্যক্ষভাবে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সংগ্রামেও অংশ নেই। সিটিও টেলিপ্রিন্টার মেসেজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার সাথে সাথে গর্জে উঠে গাজীপুর অডিন্যান্স ফ্যাক্টরীর বেগুল রেজিমেন্ট । তারা হত্যা করে পাঁকজান্ডাদেরকে।
ঢাকায় অতর্কিত হামলার উদ্দ্যশ্যে বিপুল অ¯্র গোলাবারুদ নিয়ে ১৭ সদস্যের একটী মুক্তি সেনা ০৩ রা এপ্রিল আমুলিয়া আসে। ১৪১২৯ ইবিআর সিপাহী কে. এম. জামান কাকার সাথে ৭১ এর ১২ ই এপ্রিল কমলাপুর রেলস্টেশন এবং ২৬ শে এপ্রিল ঢাকা ডেমরা রোডের রাতখাঁ (বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ব্রীজ) সংলগ্ন স্থানে গভীর রাতে উক্ত বেঙ্গল রেজিমেন্ট সহ আমি প্রত্যক্ষভাবে পরপর ০২ (দুই) দিন পাক বাহিনীর কনভয়ে আক্রমণ করি। জুন-ডিসেম্বর ০৭ মাস মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করি। শুধুর আওয়ামীলীগের এম পির সুপারিশ নিয়ে এলাকায় বিদ্যুৎ প্রাঃ বিদ্যালয়, টেলিফোন,গ্যাস আনতে সক্ষম হই। ২০০৮ খ্রীঃ থেকে ২০১৫ খ্রীঃ দলীয় সংসদ সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রকোশলী এবং মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সহিত সরাসরি যোগাযোগ সাপেক্ষে ‘ডেমরা-আমুলিয়া- রামপুরা’ রাস্তাটি বাস্তবায়নে সর্বাত্বক ভাবে অংশগ্রহন করি যে রাস্তাটি বর্তমানে চার লেনে এক্সপ্রেসওয়ে তে উন্নীত হতে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গ শার্দূল বলেছেন আমাদের মাটি সোনার চেয়েও খাটি। সর্বদা দেশকে খাদ্যে স্বনির্ভর রাখতে হবে। পরনির্ভরশীল জাতি কখনো মাথা তুলে দাড়াতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শীতা এবং বিচক্ষনতায় খাদ্যে,সহ অর্থনিতীতে, বিদ্যুতে, জ্বালানিতে, রপ্তানিতে, শিক্ষায়, শিল্পে, বানিজে, যোগাযোগে প্রভূত সাফল্য লাভ করে। প্রতিহিংসায় সেই চক্রটি করনা, রাশিয়া,ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগে পূনরায় স্বরযন্ত্রে লিপ্ত। স্বরযন্ত্র করেছিল তারা মুক্তিযুদ্ধে, ষড়যন্ত্র করেছিল পদ্মা সেতু নির্মানেও।
এমনকি তারা ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট, ২১ আগষ্টের গ্রেনেড, ০১/১১, ২০১৪ এর আগুন সন্ত্রাসের ন্যায় আগামী ০১ বছরের আরো গভীর চক্রান্ত করতে পারে। তারা দেশে বিদেশে ষরযন্ত্রে লিপ্ত। তারা শুধু ক্ষমতার জন্য পাগল দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি তাদের কখনো কাম্য নয়। হাত নেড়ে নেড়ে সমালোচনা করা যত সহজ দেশের উন্নয়ন ও কল্যান করা ততই কঠিন। বিগত ১৫টি বছর জনগন তাদের হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করেছে, কান দিয়ে শুনেছে, চক্ষু দিয়ে দেখেছে কাদের দারা দেশবাসির কল্যান সম্ভব। ১৯৮১ সালের এক পড়ন্ত বেলায় নিজ চোখে দেখেছি ভাঙাচোরা, অগোচালো, তালাবদ্ধ বঙ্গবন্ধু আওয়ামীলীগ অফিসের বিভীষিকার সেই করুন দৃশ্য।তখন এমন সুন্দর গনতন্ত্র ছিলো যখন পার্টি অফিসে ঢুকা দূরের কথা, কার্যালয়ের সম্মুখে মঞ্চ করে মিটিং করার ছিলোনা কোনো পরিবেশ।সেদিন তোফায়েল,রাজ্জাক, নাসিম, আমু ভাইসহ ৬০/।৭০ জন কর্মীর উপস্থিতিতে ৭/৮ বছরের পরশ ও তাপসকে জড়িয়ে … ক্রন্দনরত অবস্থায় শেখ হাসিনা বলেছেন তিনি নিজে যেমন এতিম, তেমনি এ শিশু দুটিও এতিম।তিনি আজ রিক্ত, নিঃস্ব ও জনমদুখীনি। স্বাধীন দেশে আজ তার কথা বলারও কোনো অধিকার নাই। জনগনের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের আভির্ভাব। ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে, স্বাধীনতার জন্য অজশ্র ধারায় রক্ত দিয়েছে আওয়ামীলীগ।
১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যা গরিষ্ট ভাবে বিজয়ী হলো । পাকিস্তানী সামরিক জান্তা যখন নিরীহ বাংগালিদের নির্মমভাবে হত্যা করতে লাগলো। ৯মাস মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পাকজান্তাকে সমর্থন দিলো, ৭ম নৌবহর পাঠালো। ১৫ই আগস্ট যখন জাতির পিতাকে হত্যা করলো, ৩রা নবেম্বর জেল হত্যা করলো,ইমডেমনিটি পাস করলো,২১শে আগষ্ট যখন ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করলো তখন কোথায় ছিল বিস্ব বিবেক? কোথায় ছিলো আমেরিকা ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের গনতান্ত্রিক চর্চা? আমরা জানি ৭৪ সনে, যুদ্ধবিদ্ধস্ত, বন্যা পিড়িত বাংলাদেশের জন্য খাদ্য সামগ্রী বোঝাই জাহাজকে কারা চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফিরিয়ে নিয়ে কৃতিম খাদ্য সংকট তৈরি করেছিল। গনতান্ত্রিক সরকার কে হত্যা করে সামরিক জান্তা যখন ১৫ টি বছর ক্ষমতায় থাকলো তখন শক্তিধর কোন দেশ থেকে টু শব্দটিও বের হলো না, এমন কি রুহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন নিয়েও আজ তাদের কোন মানবাধিকার নেই। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সহিত মীর জাফর আলী সহ আরো কারা কারা ষড়যন্ত্র্র করে বাংলার নবাবকে হত্যা করে দুইশত বছর গোলামীতে নিষ্পেশিত রেখেছিল । তাদের প্রেতাত্তাদেরকে বাংলাদেশের জনগন ভালো করে চিনে।
আফসোস হয় যখন দেখি কৃষি জমি যারা বালু ভরাট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন রাজনৈতিক দলকে একটি কথা বলতেও শুনি না ।তারপর রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ,যুদ্ধ বিগ্রহ ইত্যাদি।এভাবে বালু ভরাট অব্যাহত থাকলে এক সময় কয়েকশত টাকায়ও এক কেজি চান মিলবে না। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বাড়লে জন অসন্তোষ বাড়ে, আন্দোলন বাড়ে। জনগনের পেটে খাবার না থাকলে কোন উন্নয়নই সফলতা পায় না। করোনা/ ইউক্রেন যুদ্ধের এই মুহূর্তে দেশ প্রেমিক ‘সকল রাজনীতিবিদ, সম্মানিত জাতীয় সংসদ সদস্য, শ্রদ্ধেয় মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন দেশের উন্নয়ন ধারা অপ্রতিরোধ্য গতিতে অব্যাহত রাখন । কোন অন্যায় দ্বারা বা অন্যায়ের প্রতি আপোষ করতে আওয়ামীলীগের জন্ম হয়নি। আল্লাহর রহমতে বর্তমানে বাংলাদেেশর ৮০% শান্তিপ্রিয় লোক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি, পক্ষে। সাথে রয়েছে প্রশাসরে সচিব,কৃষিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ডি.সি. ইউ.এন.ও মহোদয়ের ন্যায় সুশিক্ষিত, মেধাবী, দায়িত্বশীল, সৎ, বিচক্ষন, আত্মপ্রত্যয়ী ও আদর্শবান হাজার হাজার কর্মকর্তা।
রয়েছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, পুলিশ ওর্ যাব বাহিনী । যারা অত্যন্ত শৃঙ্খল, সুদক্ষ, তেজস্বি ও দেশপ্রেমিক। তারা দেশের গৌরব ও জনবান্ধব। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনেও তারা প্রশংশিত । সুদক্ষ ও দেশপ্রেমিক উক্ত বাহিনীর সমন্বয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় এমন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করুন যাতে বাংলাদেশের আর ১ ইঞ্চি কৃষি/ফসলী জমি ও ইট- ভাটা/পুকুর বালু ভরাট করা না হয়। কৃষি/ফসলি জমি রক্ষা কল্পে ।অবৈধ ভাবে বালু ভরাট কৃত সুজলা সুফলা শস্য শ্যামল কৃষি জমি গুলি অবিলম্ভে উদ্ধার করুন। ** যাদে: রক্তের অনু পরমানুতে স্বাধীনতার স্রোতধারা প্রবাহিত। নিজস্ব অর্থায়নে যারা দেশের মেগা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম। কেবল মাত্র দেশপ্রেমিক বর্তমান সরকার দ্বারাই উপকুল ও হাওর অঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার রক্ষায় স্থায়ী সমাধান সম্ভব। জাতির জনকের নির্দেশা সমুন্নত রেখে দেশকে খাদ্যে সয়ং সম্পূর্ণ রাখলে কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আপনাদের আপনাদের সততা, আদর্শ ও আন্তরিক প্রচেষ্ঠাতে সকল অপপ্রচার, চক্রান্ত নস্যাৎ করে বাংলাদেশ তার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌছে যাবে। সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্ম সুখে থাকবে, শান্তিতে ঘুমাবে ইন শাহ্ আল্লাহ। মানুষ মরনশীল। তাই কোন স্বার্থ।পদের জন্য লালায়িত না হয়ে আসুন আমরা বিনয়ের সাথে নামাজ আদায় করি, প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করি। মাতা, পিতা, আত্মীয় স্বজন, মুক্তি,বান্ধা, জার জনকের আত্মার মাগফিরাত সহ, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। তিনি যেন “করোনা/মহাপ্রলয় ঘুর্নিঝড় মোখার” ন্যায় ওলি আল্লাহর পূন্যভূমি বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। আমিন। জয় বাংলা।
সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী
বীর মুক্তিযোদ্ধা, ০১৮২৪১১৮২৭৪