জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক আজ (২৭ মার্চ) শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম চত্বরে তৌহিদী জনতা শান্তিপূর্ণভাবে গুজরাটে মুসলিম নিধনের নায়ক নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে সমাবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সন্ত্রাসীরা বিনা উস্কানীতে নিরীহ মুসল্লীদের উপর গুলিবর্ষণ ও রক্তাক্ত হামলা চালায় এবং জাতীয় মসজিদ অবমাননা করে।
তিনি বলেন, বায়তুল মোকাররমে হাজার হাজার মুসল্লী আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থানে তৌহিদী জনতা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে পড়ে। কিন্তু দেখা গেছে সব জায়গাতেই পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানরা প্রতিবাদি জনতার উপর হামলে পড়ে। হাটহাজারীতে বিক্ষোভরত ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচার গুলি চালিয়ে চারজনকে শহীদ করে ও বহু আহত করে। পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের এমন আগ্রাসনে দেশবাসী ক্রদ্ধ, হতভম্ব।
আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, রাসূল (সা.)এর হাদীস মতে উলামায়ে কেরাম নবীগণের উত্তরসুরি হিসেবে মুসলিম সমাজে বিশেষ মর্যাদাবান। তারা ঈমান-আক্বিদা, সামাজিক সহাবস্থান এবং দেশ ও জাতীয় স্বার্থে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে সবসময় সোচ্চার থাকেন। কিন্তু গতকাল মোদির ঢাকায় অবস্থানকালীন জাতীয় মসজিদে ঢুকে নবীর ওয়ারিস আলেম ও মুসল্লীদের উপর হামলা ও মাদরাসা ছাত্রদের খুন করে ক্ষমতাসীন দল প্রমাণ করল যে, তারা বিজেপির মুসলিমবিদ্বেষী উগ্র হিন্দুত্ববাদের মিশন বাংলাদেশেও কায়েম করতে চায়।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিককে বিষয়গুলো গভীরভাবে ভাবতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকি মুক্ত রাখা এবং সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও উগ্র হিন্দুত্ববাদের থাবা থেকে জাতিকে রক্ষা করতে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে হিন্দুত্ববাদের দেশিয় এজেন্টদের প্রতিহত করতে সোচ্চার হতে হবে।