বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ”লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকান্ড হয়েছে। আমরা সেদিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি। ”
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মীর্জা ফখরুল আরো বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এ প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন আঁকা বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা।
তিনি বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ একটি অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে। আর টিকে থাকার জন্য এই ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছে। যে আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি, যে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, যাদের বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি।
গত ২৮ তারিখে এখানে সমাবেশে পুলিশি হামলা চালিয়ে আমাদের যে সব নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং অমানবিক নির্যাতন করছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রেস ক্লাব এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুরানা পল্টন মোড়, হাইকোর্ট মোড়, সচিবালয় এলাকায়, কদম পোয়ারা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়।
যবুদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ সভাপতি মুরতাজুল করিম বাদরু, সহ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, প্রমূখ।