জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করোনাভাইরাস জনিত মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। বিশে^র প্রতিটি দেশ ও জনগণের সম্মুখে একমাত্র চ্যালেঞ্জ জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করা। আমাদের দেশ এ সংকটের বাহিরে নয়। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকানোর লক্ষ্যে দেশব্যাপী লকডাউন কার্যক্রম শুরু করেছে। জাতির এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ইউনাইটেড প্রগ্রোসিভ এল্যায়েন্স ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন এর চেয়ারম্যান আশরাফ আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে আজ ১১ এপ্রিল ২০২১ইং রবিবার সকাল ১১টায় ৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরী সভা মিলিত হন।
উক্ত সভায় দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংকটের মোকাবেলায় সরকারের উদ্দেশে কতিপয় সুপারিশ তুলে ধরেন-
১) করোনা সংকটে ও আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে কর্মহারা দিনমজুর, মধ্যবর্তী ও নি¤œ মধ্যবর্তী মানুষের জন্য বিশেষ রেশনিং এর ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২) রাষ্ট্রীয় খরচে ব্যাপক হারে করোনা টেষ্টের উদ্যোগ গ্রহণ।
৩) সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে করোনা সংক্রমিত ওয়ার্ড/থানা পর্যাপ্ত ফিল্ড হসপিটাল চালু করা।
৪) লাকডাইকালীন সময়ে নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের ভাড়াটিয়াদের বাড়িভাড়া মওকুফ করা।
৫) নন-এমপিও ভ্ক্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রণদোনা বাস্তবায়ন।
৬) শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ।
৭) ুক্ষুদ্র ও উদ্যোক্ত হকারদের ব্যবসায়িক ক্ষতি পূরণে অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক এর যৌথ প্রণদোনা ক্রিম দ্রুত বাস্তবায়ন।
৮) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সেন্ডিকেটের কারসাজি ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধে মনিটরিং জোরদার করা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের ভাইস চেয়ারম্যান তোমাজ্জেল হক তাজেম, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ রাজিব মিয়া, গণতান্ত্রিক মুক্তি স্বেচ্ছাসেবক আন্দোলনের সভাপতি শাহজাহান সার্ভে আমিন, বাংলাদেশ মুক্তি আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মোঃ সুজন মিয়া, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি সুবাশ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন সহ দলের নেতৃবৃন্দ।
