শিশুর সুন্দর একটি নামেও আদর্শ মানুষ হয়ে উঠতে পারে

আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২১
0

মানুষ সন্তানদের জন্য যদি খুব সুন্দর নাম বাছাই করতে পারে তাহলে তা তাদের শিক্ষণ বা প্রশিক্ষণ এবং তাদের মন-মানসিকতার ওপরও বেশ জোরালো প্রভাব রাখতে সক্ষম। ইসলামের একটি ঐতিহ্যবাহী ধারা হল এটা যে বাবা-মা সন্তানের ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও উচ্চতর প্রশিক্ষণের কথা চিন্তা করে তার জন্য খুব সুন্দর একটি নাম বাছাই করবেন।

ব্যক্তির নাম তার বাহ্যিক পরিচয়ের বাইরেও মানুষের কাছে সুপ্ত অনেক গভীর অর্থও অনেক সময় তুলে ধরে অব্যাহত সামাজিক সম্পর্কের সুবাদে। এভাবে মানুষের নাম সময়ের পরিক্রমায় পূর্ণতাকামী বা অধিকতর পরিপূর্ণ রূপ পেতে থাকে। একটি সুন্দর নাম পাবার অধিকার বাবা-মায়ের ওপর সন্তানের অন্যতম প্রধান অধিকার। এটি তার প্রশিক্ষণের জন্য ও সুসন্তান হিসেবে গড়ে ওঠার জন্যও খুবই জরুরি। উচ্চতর চিন্তা-চেতনার আলোকে সন্তানের জন্য সুন্দর ও উপযুক্ত নাম বাছাই করা ইসলামের দৃষ্টিতে বাবা মায়ের জন্য অন্যতম প্রধান বা জরুরি কর্তব্য।

একটি সুন্দর নামে কাউকে ডাকা বা আহ্বানের কারণে ওই ব্যক্তি নিজেকে ওই সুন্দর নামের বাস্তবতা ও অর্থগুলোর সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি মানিয়ে চলার চেষ্টা করে। এমনকি সে নিজেকে ওই সুন্দর নামের আদর্শ দৃষ্টান্ত হিসেবেও ভাবার চেষ্টা করবে! একটি সুন্দর ও উপযুক্ত নাম সন্তানকে ভাবতে শেখায় যে সে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও বিশেষ গুরুত্বের অধিকারী। আর এ বিষয়টি শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় এবং তার মনোবল থাকে সুস্থ ও প্রভাবদায়ক বা কার্যক্ষম।

হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসা মানুষের এক একটি নাম একে-অপরের কাছে অনেক সময় স্মৃতির আর্কাইভ থেকে তুলে ধরে অনেক স্মৃতি/ ও প্রভাব ফেলে পরস্পরের মনন-ও আচরণে। নানা ধরনের পছন্দ বা বাছ-বিচার, বিশ্লেষণ ও ঝোঁক-প্রবণতারও মাধ্যম হয়ে ওঠে মানুষের নাম। নাম কাউকে না দেখার অপূর্ণতা মিটিয়ে দেয় এবং খুব কাছ থেকে তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে না জানার তথ্যগত ঘাটতিগুলোও মিটিয়ে দেয়। কেবল তার নাম শুনেই আমাদের সমস্ত কল্পনা ও ধারণার পাখাগুলো ওই ব্যক্তির নানা গুণ আর বৈশিষ্ট্যের এক পরিপূর্ণ ছবি আমাদের কাছে তুলে ধরে।