সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার

আপডেট: জুন ৩, ২০২১
0

বাজেটের আয়-ব্যয়ের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ঋণ নেবে সরকার। এবার সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যার লক্ষ্য ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নেয়া হয়। পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ১লা জুলাই থেকে নতুন এ অর্থবছর শুরু হবে।অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ঋণ করতে চাচ্ছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে বাজেটে যার লক্ষ্য ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। তবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় সংশোধন করে তা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা করা হয়। কিন্তু ব্যাংকের তুলনায় সুদহার বেশি হওয়ায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বেড়েছে ব্যাপক হারে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসেই (জুলাই-মার্চ) সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৮৫ হাজার ৯৯০ কোটি টাকার। আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল ৫২ হাজার ৯৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা শোধ করা হয়েছে। সেই হিসাবে নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ২০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এদিকে অতিমাত্রায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সুদহার না কমিয়ে চলতি অর্থবছরে নানা শর্তজুড়ে দিয়েছিল সরকার। তবে ব্যাংকের চেয়ে তুলনামূলক বেশি সুদ পাওয়ায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে। এবার বাজেটে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্র বিক্রি ছাড়াও অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার টাকা অর্থ সংগ্রহ করবে সরকার।