‘সত্যজিৎ রায় ছিলেন বাঙালিদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধারণকারী চলচ্চিত্রকার’

আপডেট: মে ১২, ২০২১
0

বাঙালিদের সেরা কবি সাহিত্যক চলচ্চিত্রকার কারু শিল্পী সত্যজিৎ রায়ের ১০০তম জন্মবার্ষিকী ছিল ২ মে, ২০২১। দিবসটি পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ১২ মে, ২০২১ বুধবার সকাল ১১ঘটিকায় সাংবাদিক রেহানা মিলনায়তন,বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ, ৪র্থ তলায়, ঢাকায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল।

আলোচনা সভা বক্তব্য রাখেন, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির, গীতিকার সাইফুর রহমান, নারী নেত্রী এলিজা রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী সাধারণ সম্পাদক সমীর রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ।

সভাপতি ভাষণে এম এ জলিল তার বক্তব্যে বলেন, বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে বিশে^র কাছে সর্বপ্রথম পরিচিতি করেছিলেন বিশ^ কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই চারজনকে ধারণ করে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিশ^বাসীর কাছে পরিচয় দিয়েছেন সত্যাজিৎ রায়। আমরা সত্যজিৎ রায়ের কাছে চিরঋণী ও কৃতজ্ঞ। তার চলচ্চিত্র এমনই বিখ্যাত ছিল তিনি পরপর দুইবার অঙ্কার পুরষ্কার পেয়েছেন ফ্রান্স সরকার তাকে সেই দেশের শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার দিয়েছেন। এই কারণেই তাকে আমরা আজকে স্মরণ করছি। সত্যাজিৎ রায় যেভাবে বাঙালি ও বাংলা ভাষাকে ভালোবেসেছেন এবং বাঙালিদেরকে বিশে^র কাছে পরিচয় ঘটিয়েছেন সেই একই নীতি আমরা বাঙালি জাতি ধারণ করবো এবং বিশ^বাসীর কাছে বাঙালি যে একটি শ্রেষ্ঠজাতি তার পরিচয় ঘটিয়ে দিবো। আসুন আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি গুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সত্যাজিৎ রায় যেভাবে বাংলাভাষা ও বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কৃষ্টিকে ধারণ করে ছিল সেই একই ভাবে আমরা বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনগুলোতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ক্ষুধা দারিদ্র মুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ি। তবেই স্বার্থক হবে সত্যজিৎ রায়ের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায়।

কাজী মাসুদ আহমেদ বলেন, সত্যাজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সমস্যাকে তুলে ধরেছেন। যার ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন। সত্যাজিৎ রায়ের অপুর সংসার ছবি এবং অসনী সংকেত ছবি আমাদেরকে এই শিক্ষাই দিয়েছেন। আগামী দিনে আমরা সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রকে ধারণ করে পথ চলতে পারি তবেই সত্যজিৎ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা সম্মান দেখানো সম্ভব হবে।