সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ করার দাবি জানিয়েছে ৫টি যুব সংগঠন। আজ ১১ আগস্ট ২০২১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সাব্বাহ আলী খান কলিন্স ও সাধারণ সম্পাদক মোতাসিম বিল্লাহ সানী, বাংলাদেশ যুব আন্দোলন এর সভাপতি কমরেড মুশাহিদ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পল্লব পাল, বাংলাদেশ যুব ঐক্যের সভাপতি খায়রুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন সেলিম এবং বাংলাদেশ যুব সমিতির সভাপতি হাসান এস কমরুন ইসলাম ও নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল মালেক এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ সরকারী চাকুরী প্রত্যাশীদের ২১ মাসের বয়স ছাড়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সাময়িক ব্যবস্থা হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের প্রস্তাব বিবেকহীন, বোধ-বুদ্ধি পরিপন্থী। এ ধরনের প্রস্তাব কোন ক্রমেই দেশের শিক্ষিত বেকার-তরুণদের কাছে গ্রহণ যোগ্য নয়। অবিলম্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক উত্থাপিত এ প্রস্তাব প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়েক বছর আগেই সরকারী চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছর করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি। উপরন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে প্রায় দুই বছর নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বন্ধ রয়েছে। তাই অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ভাবেই বলা যায় সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানো এবং করোনার কারণে আরো দুই বছর বাড়ানো উচিত। কিন্তু সব কিছু বিবেচনা করে অন্তত কমপক্ষে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা এই মুহুর্ত থেকে ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৩ বছর করা অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত দাবি।
নেতৃবৃন্দ সরকারী চাকুরী প্রত্যাশীদের ২১ মাসের বয়স ছাড়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করার দাবি সমর্থন করার জন্য দেশের ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।